‘ক্যান্সার হতে পারে পুরুষাঙ্গেও’ নজর রাখুন
---
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্রেস্ট ক্যান্সার যেমন নারীশরীরে থাবা বসায়, ঠিক একইভাবে ক্যান্সারের প্রাণঘাতী ম্যালিগন্যান্ট কোশ তৈরি হতে পারে পুরুষাঙ্গেও। বলা হয় পিনাইল ক্যান্সার। কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপসর্গ জানান দেয় সর্বনাশের। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই ঘাপটি মেরে বসে থাকে। ক্ষতি করে চুপচাপ।
উত্তর : প্রথমেই বলি, চিন্তা করবেন না। মন শক্ত করুন। পুরুষাঙ্গের অস্বাভাবিকতা অনেক রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। কিন্তু সঠিক সময় চিকিৎসা করালে রোগ সেরেও যেতে পারে। তাই ফেলে না রেখে ডাক্তারকে দেখিয়ে চিকিৎসা শুরু করে দিন।
এটি পিনাইল ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে। পুরুষাঙ্গের ফোরস্কিনে কালশিটে দেখা গেলে, রং বদল হলে, চামড়া মোটা হলে, নির্গমনের সময় বিকট দুর্গন্ধ বেরোলে, পুরুষাঙ্গের ফুটো থেকে রক্ত বেরোলে, নিচের দিকে বেগুনি বা লালচে ফুসকুড়ি দেখা গেলে, লসিকা ফুলে গেলে, মাংসপিণ্ড তৈরি হলে পিনাইল ক্যান্সার হতে পারে।
মূলত, ৬০-এর ঊর্ধ্ব পুরুষদের পিনাইল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি কারোর ফিমোসিস থাকে (পুরুষাঙ্গের মাথা পর্যন্ত যদি ফোরস্কিন না পৌঁছোয়), তবে সম্ভাবনা বাড়তে পারে। আর যদি কেউ হাইজিন না মানে, নোংরা থাকে, স্নান না করে, অপরিষ্কার জামাকাপড় ও অন্তর্বাস পরে, তাকে আক্রমণ করতে পারে পিনাইল ক্যান্সার। হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) – একধরনের
সেক্সুয়ালি ট্র্যান্সমিটেড ইনফেকশন, পিনাইল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। যাঁরা টোব্যাকোর নেশা করে, পুরুষাঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে তাঁদেরও।
পুরুষাঙ্গ দুটি ইরেকটাইল টিশু দিয়ে তৈরি, যার মারফত রক্ত প্রবাহিত হয় – কর্পোরা ক্যাভারনোসা ও কর্পাস স্পঞ্জিওসম। এই দুটি টিশুকে ঘিরে থাকে আরও একটি টিশু। তার উপর থাকে চামড়া। পুরুষাঙ্গের মাথায় থাকে খুব পাতলা চামড়া, যেটাকে ফোরস্কিন বলা হয়।
দেরিতে ধরা পড়লে পিনাইল ক্যান্সার প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু সঠিক সময় রোগ নির্ধারণ করা গেলে সহজেই সারিয়ে ফেলা যেতে পারে। সেজন্য দেরি করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।