মসজিদে মুসল্লির ঢল, মাজারে উপচে পড়া ভিড়
---
মহিমান্বিত রজনী শবে বরাত উপলক্ষে বার আউলিয়ার পুণ্যভ‚মি চট্টগ্রামের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। পাড়া-মহল্লার প্রাপ্তবয়স্ক মুসল্লিদের পাশাপাশি এশার নামাজে বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোর আর তরুণরাও বাবা-চাচা-ভাইদের সঙ্গে মসজিদে আসে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে বিভিন্ন মসজিদ পরিদর্শন করে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদসহ বড় বড় মসজিদ, মাজার ও চৈতন্যগলির কবরস্থানের সামনে গোলাপজল, আতর, আগরবাতি, মোমবাতি, টুপি, তসবিহ, সুরমা, মেসওয়াক, ধর্মীয় বই-পুস্তকের দোকান বসেছে। মসজিদ ও মাজারের সামনে বসে থাকা ফকির, মিসকিনদের অনেকে হালুয়া-রুটি, টাকা-পয়সা দান করতে দেখা গেছে।
শবে বরাতে নগরীর প্রধান প্রধান মাজারসংলগ্ন মসজিদগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। খাজায়ে বাঙ্গাল, কুতুবুল আকতাব হজরত শাহসুফি আমানত খান (র.), হজরত বদর শাহ (র.), হজরত মিসকিন শাহ (র.), হজরত বায়েজিদ বোস্তামী (র.), হজরত গরিবুল্লাহ শাহ (র.), হজরত বদনা শাহ (র.)সহ আউলিয়াদের মাজার ও খানকাতেগুলোতে ভক্ত-আশেকানদের কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, মিলাদ, কিয়াম, মোনাজাত করতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাদে আসর থেকে পীর মশায়েখদের দরবারগুলোতে তরিকতপন্থীদের ব্যাপক সমাগম হয়েছে। রাতভর দরবারগুলো সরগরম থাকবে জিকিরের ধ্বনি আর রোনাজারিতে।
কাজীর দেউড়ি মোড়ে কথা হয় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ থেকে এশার নামাজ আদায় করে আসা কলেজছাত্র আজিজুল হাকিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, হুজুরদের মুখে শুনেছি যেখানে বেশি মানুষের সমাগম হয় সেখানে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই বড় মসজিদে অনেক লোকের সঙ্গে জামাতে এশার নামাজ আদায় করেছি। এখন চৈতন্যগলি কবরস্থানে মুরব্বিদের কবর জেয়ারত করতে যাচ্ছি। এরপর সারা রাত বাসায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত করবো।
লালদীঘির মোড়ে কথা হয় সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র কবির হোসেনের সঙ্গে। সে জানাল, আমানত শাহ হুজুরের মাজারে জেয়ারত করতে যাচ্ছি। মা বলেছেন, আউলিয়াদের দরবারে জেয়ারত করলে তাদের উসিলায় আল্লাহ মকসুদ পূর্ণ করেন। আমি পরীক্ষায় ভালো ফল লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইব। এ ছাড়া মা-বাবা, ভাই-বোন ও স্বজনদের হায়াত, রিজিক, রোগমুক্তির জন্য দোয়া চাইব আল্লাহর দরবারে।
হজরত শাহসুফি আমানত খান (র.) ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ খাজা মোহাম্মদ বেলায়েত উল্লাহ খান হাসানি জানান, রাতভর মাজারে জিকির-আজকার, মিলাদ-কিয়াম, দোয়া-দরুদ, আস্তাগফের, কোরআন-তেলাওয়াত এবং ফজরের নামাজের পর আখেরি মোনাজাত হবে। ভক্তদের জন্য রাতে তবররক ও সেহেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলানিউজ