রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ: খালেদা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।রবিবার দুপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বকবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
বেগম জিয়া বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিশ্বকবির অপরিসীম প্রভাব বিদ্যমান। এশিয়ার প্রথম নোবেল পুরস্কার পাওয়ার বিরল সম্মান অর্জনকারী রবীন্দ্রনাথ তার উপন্যাস, কবিতা ও গানে গভীর জীবনবোধ, প্রকৃতির সাথে সংলগ্নতা স্বর্গীয় আনন্দের আবহ তৈরি করে।
বাণীতে তিনি আরো বলেন, তার সৃষ্টির মধ্যে প্রাণ-প্রকৃতি এক অনন্যরূপ ধারণ করে। তার রচিত গান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্ববোধ করি। তার অনন্য সৃষ্টিতে চিরাচরিত ধারার বাইরে স্বতন্ত্রধর্মের পরিচয় মেলে। ধর্ম-লোকাচার, রাজনীতি ও সমাজচিন্তা এবং বিশ্বভাবনায় এই স্বাতন্ত্র্যবোধ তার বিশাল সাহিত্য সংস্কৃতির পরিমণ্ডলে বাংলা ভাষাভাষির মানসলোক নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অনাবিল সৃষ্টিতে একদিকে যেমন স্বজাতির মুঢ়তা, স্থবিরতার বিপন্ন ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন, আবার অন্যদিকে তিনি জাতীয় জীবনের সব অচলায়তন ভেঙে বিশ্বের অতি অগ্রসর জাতিসমূহের কীর্তিময় অর্জনগুলোকে গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
অপর এক বাণীতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যের মর্যাদায় উন্নীত করতে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বাংলা সাহিত্যের যুগোত্তীর্ণ শ্রেষ্ঠ লেখক ও বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের একজন। অবিনাশী সৃষ্টির দ্বারা তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ভাষাবিজ্ঞানী, দার্শনিক, সংগীত রচয়িতা ও সুরকার হিসেবে এক উচ্চমাত্রায় নিজেকে অধিষ্ঠিত করেন। কবি রবীন্দ্রনাথ শুধু কবিই ছিলেন না; ছিলেন সমাজ, রাজনীতি ও সামাজিক সম্প্রীতির অক্লান্ত ভাষ্যকার। যা তিনি সাহিত্য ও কর্ম জীবনের শুরু থেকে আমৃত্যু করে গেছেন।