সোমবার, ৩রা জুলাই, ২০১৭ ইং ১৯শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বিক্রি হবে গোটা এক শহর!

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ২২, ২০১৭

---

অনলাইন ডেস্ক : মানুষের পয়সা হলে বাড়ি কেনে বা গাড়ি। অনেকে বিস্তর জমিও কেনেন। কিন্তু কেউ কি কখনো গোটা একটা শহর কেনার চিন্তা করেন? তা ছাড়া এমনও তো হয় না যে, কোনো শহর বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে। কিন্তু আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিমের অরিগনের গোটা এক শহর বিক্রি হতে চলেছে!

খুব বড় কোনো শহর নয়। তবুও তো একটা শহর। এর নাম টিলার, বিক্রি হবে। কিনতে হলে পকেটে থাকতে হবে ৩.৫ মিলিয়ন ডলার। এই শহরে ৬টি বাড়ি, বন্ধ হয়ে থাকা জেনারেল স্টোর আর গ্যাস স্টেশন রয়েছে। সেখানে আছে একটি পোস্ট অফিস, পানির সরবরাহ এবং ফুটপাথসহ আরো কিছু অবকাঠামো। ফায়ার সার্ভিস অফিস এবং পাওয়ার স্টেশনও মিলবে এখানে। আছে টিলার এলিমেন্টারি স্কুল। ছয়টি শ্রেণিকক্ষের এই ভবনটি ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এটাকে কিনতে অবশ্য বাড়তি সাড়ে তিন লাখ ডলার লাগবে। আর চারদিকে ঘিরে রয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য। কাজেই ক্রেতাদের কাছে একটা ভূস্বর্গ কেনার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে।

শহর কেনার ক্রেতার কিন্তু অভাব পড়ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই যোগাযোগ করছেন টিলারকে নিজের করার জন্য। অনেকে আবার নিজের করে নিতে বাড়তি দামও হাঁকছেন।

শহরটি কেমন যেন মনমরা। বিগত শতকের কাঠের উৎস ছিল একটি বন যা আজকের উম্পকোয়া ন্যাশনাল ফরেস্টে পরিণত হয়েছে্ এটা পোর্টল্যান্ড থেকে ২৩০ মাইল দক্ষিণে। এখানকার পোস্ট অফিসটি স্থাপিত হয় ১৯০২ সালে। খনির শ্রমিক, কাঠুরে, খামারি আর কৃষকরা এখানে ভীর করে শহর গড়ে তোলেন। ১৯৪০ এবং ‘৫০ এর দশকে এখানে তিনটি কাঠের মিল চালু ছিল। সেখানে গড়ে তোলা হয় এলিমেন্টারি স্কুল আর জেনারেল স্টোর। বাজারও গড়ে ওঠে।

গোটা শহরের আয়তন ২৫৬ একর বা এক বর্গ কিলোমিটারের মতো। বহু দিন ধরে এ শহরটি প্রাণহীন হয়ে রয়েছে। তবে এখনো একে ঘিরে ২৩৫ জন মানুষের বাস। ক্ষয়িষ্ণু অর্থনীতি আর শহরবাসীদের প্রস্থানের কারণে শহরের প্রাণচাঞ্চল্য আর নেই। তাই এটাকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্তমান বাসিন্দারা চার্চ আর কফি শপে ভীর করে অবসর সময় কাটান। পোস্ট অফিস থেকে চিঠি সংগ্রহ করেন। এদের আশা, টিরার হয়তো আবারো প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে।

বাসিন্দারা শহর বিক্রির বিষয়ে আশাবাদী। তাদের ভাষায়, আপনারা যদি এ শহরে বাস করতে থাকেন তো একেবারে পরিবারের মতো গোটা শহরকে পাবেন। তবুও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এরপর হয়তো বাসিন্দারা আর থাকার আর সুযোগ পাবেন না। এই ভেবে চোখের পানি ফেলছেন অনেকে।

এই শহরেই বেড়ে উঠেছেন ক্লেপ। এখন তার বয়স ৭২, থাকেন ওয়াশিংটনের অলিম্পিয়ার কাছে। বললেন, বছর বছর ধরে শহরটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে বেড়ে ওঠার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শহরকে ঘিরে। ওটা ছিল একটা স্বর্গ। সূত্র: ইয়াহু

এ জাতীয় আরও খবর