সোমবার, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২৪শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

পুতিনকে খুনি বলায় ট্রাম্পের উত্তর, আমাদের দেশ কি নিষ্পাপ?

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমাদের দেশ কি একেবারে নিষ্পাপ?’স্থানীয় সময় শনিবার টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্ন করেন ট্রাম্প। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন জানাতে গিয়েই এমন বলেন তিনি।

ফক্স নিউজের ওই সাক্ষাৎকারটি সঞ্চালনা করেন বিল ও’রেইলি। পুতিনকে নিয়ে আলোচনার সময় এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে (পুতিন) একজন খুনি।’

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক খুনিই আছেন। আপনি কি মনে করেন, আমাদের দেশ খুব নিষ্পাপ?’

‘আমি মনে করি, আমাদের দেশেও অনেক খুনি রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়েই বোকামি চলছে, খুন-খারাপি চলছে, খুব বেশি মাত্রায় বোকামি চলছে,’ বলেন ট্রাম্প।

পুতিনের সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘সে (পুতিন) তাঁর দেশের নেতা। আমি বলব, রাশিয়াকে এড়িয়ে চলার থেকে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে চলাটাই ভালো হবে। রাশিয়া যদি আমাকে আইএসের (ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করে, যেটি একটি উল্লেখযোগ্য এবং বিশ্বজুড়ে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় যুদ্ধ, তাহলে ভালোই হবে।’

তবে ট্রাম্প এটাও জানিয়েছেন, তিনি কাউকে সম্মান করেন, এর অর্থ এটা নয় যে তাঁকে (পুতিন) সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।

এর আগে গত শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁদের কথোপকথনে প্রাধান্য পায় বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রসঙ্গ।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এই আলোচনাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সূচনা’ হিসেবে অভিহিত করা হয় এবং দুই দেশের সম্পর্ক ‘মেরামতের প্রয়োজন’ বলেও বর্ণনা করা হয়।

ক্রেমলিনের একটি সূত্র জানায়, আলোচনায় ইসলামিক স্টেট ছাড়াও সিরিয়ার অন্যান্য সন্ত্রাসী দল সম্পর্কে আলোচনা হয়। ট্রাম্প-পুতিন উভয়েই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্য ও আরব-ইসরায়েলের সংঘর্ষের বিষয়টি প্রধান্য পায়। ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়েও দুই নেতার আলোচনা হয়ছে বলে জানায় ক্রেমলিন।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম আলোচনার পর ট্রাম্প-পুতিন দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সাম্ভাব্য সবকিছু করার জন্য একমত হয়েছেন। এবং দুই নেতা অচিরেই বৈঠক ও ভবিষ্যতে নিয়মিত আলোচনা চালানোর জন্য সম্মত হয়েছেন।