ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লন্ডনে ব্যাপক বিক্ষোভ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে লন্ডনে প্রতিবাদে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। শনিবার বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট-এর সামনে গিয়ে জড়ো হন। শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত যুক্তরাজ্য সফর বাতিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র কাছে দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিবাদ মিছিলটি আয়োজন করা হয়েছে যৌথভাবে। আয়োজকদের মধ্যে রয়েছে স্টপ দ্য ওয়ার কোয়ালিশন, স্ট্যান্ড আপ গ র্যাসিজম এবং মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিটেন। বিক্ষোভ মিছিলটি লন্ডনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সামনে থেকে শুরু হয়ে ডাউনিং স্ট্রিট আসে। মিছিলকারীদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো, ‘নো টু ট্রাম্প, নো টু ওয়ার’। এছাড়া ট্রাম্পের ছবিতে ক্যাপশন হিসেবে লেখা রয়েছে, ‘বিকারগ্রস্ত আমেরিকান’।
মিছিলের পূর্বে এক সংবাদ সম্মেলনে পূর্ব লন্ডন মসজিদের নির্বাহী পরিচালক দিলোওয়ার খান বলেন, আমরা সমতায় বিশ্বাস করি। আমি মনে করি যা (ট্রাম্প) করছেন তা আমাদের সমাজের পুরো কাঠামো ধ্বংস করে দিচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের একটি ভিডিও বার্তা সমাবেশে দেখানো হয়। ভিডিও বার্তা করবিন উল্লেখ করেন, যদি ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর বহাল রাখেন, তাহলে থেরেসা মে নিজেকে ইতিহাসের ভুল পক্ষের সঙ্গ দেবেন।
লন্ডন ছাড়াও যুক্তরাজ্যের আরও ১২টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রাইটন, বার্মিংহাম ও শেফিল্ড।
যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসন সীমিত করতে ২৭ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। আদেশ অনুযায়ী, আগামী চার মাস যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকবে। সিরীয়দের জন্য এই আদেশ পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে। ৩ মাস বন্ধ থাকবে সাত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি। ট্রাম্পের নির্বাহী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দ্বৈত-নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া (গ্রিন কার্ড হোল্ডার) ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ওই আদেশ কার্যকর হবে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশকে অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে স্থগিতাদেশ দেয় সিয়াটলের একটি আদালত। এরপর স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে করা ট্রাম্প প্রশাসনের আপিলও খারিজ করে দেয় আদালত।