বাঞ্ছারামপুরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় চালু হচ্ছে না ৫০ শয্যা হাসপাতাল
---
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কাজে আসছে না। গত ২০১৫ সালের জুন মাসে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও অনুমোদনের অভাবে রোগীর সেবায় তা কাজে আসছে না, হাসপাতালের ভবনটি। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জনস্বাস্থ্য সেবায় নির্মিত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা মুখ থুবরে পরেছে, বাঞ্ছারাপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যা.এব্ িতাজুল ইসলামের উদ্যোগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৫০ শয্যা উন্নীতকরন করেছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে। তিন তলা বিশিষ্ট এই অত্যাধুনিক হাসপাতালের কাজটি গত ২০০২ সালে শুরু হয়ে পর-পর, ৮ জন ঠিকাদার পরিবর্তন করে এবং ৪ দফা বাজেট বৃদ্বি করে অবশেষে গত বছর জুন/জুলাই মাসে ৫০ শয্যৃার কাজ শেষ হয়।এতোকিছুর পর, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসির মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শনিবার সকালে হাসপাতালে গেলে দেখা যায়,২৩ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ৫ জন ডিউটি করছেন।বাকীরাদের বিষয়ে কোন সদ্ত্তোর দেিত পারেন নি দায়িত্বপ্রাপ্ত টিএসআই ডা. হাবিবুর রহমান।দেখা গেছে,প্রায় ৫০/৬০ জন রোগী ডা.মিলনের চেম্বারে লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে।চিকিৎসক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালের সাপ্লাইয়ের পানি এতোটাই নোংরা ও দূঘন্ধ যে হাসপাতালের ডাক্তারাই সেই পানি পান করেন না।
আধুনিক যন্ত্রপাতি উন্নত পযুক্তির কালার আলট্রাসনোগ্রাম, এম আর আই, লেজার রশ্মির সাহায্যে সকল প্রকার রোগ নির্নয় সহ ২ টি অপারেশন থিয়েটার এসি ও নন এসি ক্যাবিন জেনারেল ওয়ার্ক এবং বিশেষঙ্গ চিকিৎসকদের জন্য পৃথক পৃথক রোম নির্মান করা হয়েছে। কিডনী মেডিসিন, বক্ষব্যাধি,গাহনী, মা ও শিশু, চর্ম, যৌন, দন্ত,চক্ষু ডায়াবেটিস ও অর্থপেডিক্স রোগে আক্রান্ত এলাকার অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশাবাদী।
ইতোমধ্যে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও মূলত যন্ত্রপাতির স্বল্পতা, ডাক্তার, নার্স পর্যাপ্ত নেই। এক্স-রে মেশিন ও এম্বুলেন্সটি বিগত দেড় বছর যাবত নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
বাঞ্ছারাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টি,এস,আই) ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, “৫০ শয্য হাসপাতালটির ফাইল নিয়ে দৌড়া-দৌড়ি করছি। এটি চালু হলে উপজেলা বাসির অনেক উপকারে আসবে। হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভার মোঃ মনিরের ব্যাক্তিগত এম্বুলেন্স ব্যানিজ্যর প্রসঙ্গে বলেন তাকে আমি বহু বার হাসপাতাল কম্পাউন্ডে বেসরকারি এম্বুলেন্স আনতে নিষেধ করেছি। সে আমার কথা শুনেনা আর এম্বুলেন্সটি ঠিক করার ব্যাপারে চিঠি চালাচালি করছি”।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডাঃ নিশিত নন্দি মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন আমি এক সপ্তাহ হল যোগদান করেছি। বাঞ্ছারামপুর ৫০ শয্যার হাসপাতালটি কিভাবে দ্রুত চালু করা যায় বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিবো। এম্বুলেন্সের বিষয়টি আমার নলেজে আছে।
বাঞ্ছারামপুরে সরকারি হাসপাতালের এম্বুলেন্স ড্রাইভারের রমরমা ‘রোগী’ বানিজ্য!
বাঞ্ছারামপুর সরকারি সদর হাসপাতালের নিজস্ব এম্বুলেন্সটি দীর্ঘ দেড় বছর যাবত নষ্ট হয়ে পরে আছে।
আর এই সুযোগে এম্বুলেন্সের ড্রাইভার মোঃ মনির হোসেন দৈনিক আয় করছেন ৫-৭ হাজার টাকা।
জানা গেছে, দেড় বছর ধরে বিনা পারিশ্রমিকে বেতন পাওয়া এম্বুলেন্সটির ড্রাইভার মোঃ মনির হোসেন এই সুযোগে শুরু করেছেন এম্বুলেন্স বানিজ্য। জানা গেছে হাসপাতালের এম্বুলেন্স বিকল্প থাকায় তিনি তার নিজস্ব ৩ টি এম্বুলেন্স দিয়ে রোগিদের ঢাকা টু বাঞ্ছারামপুর ৭-১০ হাজার টাকার বিনিময়ে রোগি আনা নেয়া করছেন। সরজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের কম্পাউন্ডের ভিতর সরকারি হাসপাতালের ড্রাইভার মনিরের আনা ব্যাক্তিগত এম্বুলেন্স রোগি ধরার জন্য অপেক্ষা করছে। রোগিরা অভিযোগ করছেন সরকারি ফি ২ হাজার টাকার স্থলে মনিরের ব্যাক্তিগত এম্বুলেন্সে যেতে ৩ গুন টাকা লাগছে।
এবিষয়ে এম্বুলেন্সেরে ড্রাইভার মনির বলেন, ‘অসহায় রোগীদের সাহায্য করলে কি দোষ আছে নাকি?
সরকারি এম্বুলেন্স নষ্ট তইলে আমি কি করমু!’