বুধবার, ৩রা মে, ২০১৭ ইং ২০শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন সংর্ঘষের আশঙ্কা

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
news-image

নিজস্ব প্রতিনিধি : আগামীকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন। চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩জন, সাধারন সদস্য পদে ৩৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।ইতোমধ্যে সাধারন সদস্য পদে ৫জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।বিশেষ করে সদস্য পদের নির্বাচন নিয়ে গ্রামীণ জনপদে ভয়বহ  সংর্ঘষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এই প্রথম তৃনমুল জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে বিদ্রোহী আওয়ামীলীগ প্রার্থীর মধ্যে।
লড়াই হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আর আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মধ্যে:
জেলা পরিষদে নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী হলেও মুল লড়াই হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক এড.একেএম এমদাদুল বারী ও জেলা আওয়ামীলগের সাবেক সহসভাপতি শফিকুল আলম এমএসসি মধ্যে।অশতিপর বৃদ্ব এমদাদুল বারী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন।ছিলেন সাবেক গনপরিষদ সদস্য।বয়সের ভারে ন্যুজ্য এমদাদুল একা চলাফেরা করতে পারেন না।তবে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও তার ছেলে সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল গতকাল সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন তার বাবা শারিরীক ভাবে সুস্থ আছেন।তিনি সবার কাছে তার বাবার জন্যে দোয়া চেয়েছেন।
অপরদিকে শফিকুল আলম এমএসসি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ধদিন দ্বায়িত্বপালন করলে বর্তমান আওয়ামীলীগে তার কোন পদ নেই।২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে নির্দলীয় প্রার্থী বশিরুল্লাহ জুরুর সাথে তিনি পরাজিত হন।
এছাড়া একসময়ের জাতীয় পার্টির নেতা হিসেবে পরিচিত পরবর্তীতে আওয়ামীলীগে যোগদানকারী বিশিষ্ট ব্যবসাযী মোবারক হোসেন এবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।এর আগে তিনি  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুবার জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা পরিষদ নির্বাচনে গ্রামীণ সংর্ঘষে আশঙ্কা করছেন দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সংস্থাটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গ্রামীন সংর্ঘষে জনপদ হিসাবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে ছোট খাট ঘটনা নিয়ে ঘটে যায় ভয়বহ সংঘর্ষ।আর এবারের নির্বাচনে সদস্য পদে যারা নির্বাচন করছন তাদের প্রায় অধিকাংশই গ্রামীণ জনপদে গোষ্টীগত নেতা।নির্বাচনে কোন রকম কারচুপি হলে এ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে পুরো জেলায়। তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকার মতামত দিয়েছে সংস্থাটি।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে তারা সর্তক আছেন। পাশপাশি কোন সংর্ঘষ ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য জেলার সকল ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।তিনি বলেন একেকটি ভোট একটি গ্রাম।তাই ভোটে যেন কোন রকম কারচুপি না হয় সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারী করা হবে।ভোট কেন্দ্রের ভেতরে কোন ভোটারকে মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে দেয়া হবে না।প্রকাশ্যে কেউ ভোট দিতে পারবে না।কেন্দ্রে দায়িত্বরত কোন পুলিশ তার দ্বায়িত্বে অবহেলা বা স্বজন প্রীতি করলে তাৎক্ষনিকভাবে প্রত্যাহার সহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।পুলিশ সুপার বলেন প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ৩২জন পুলিশের দুটি টিম কাজ করবে।থাকবে পর্যাপ্ত আনসার।এ ছাড়াও থাকবে উর্দ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তদারকী টিম।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানুর রহমান জানান জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন।অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৩৫২ জন ভোটার  জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন।