রবিবার, ৭ই মে, ২০১৭ ইং ২৪শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

দ. কেরিয়ায় থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু : মার্কিন সেনাবাহিনী

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২, ২০১৭

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপিত মার্কিন থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। মার্কিন বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, এখন থেকে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দিয়ে এটি দক্ষিণ কোরিয়াকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেবে।

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, এই ব্যবস্থাটি পুরোপুরি কর্মক্ষম হতে আরো কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

কোরীয় উপসাগরের মার্কিন রণতরী ও সাবমেরিন মোতায়েনের পর এগুলোকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ডুবিয়ে দেয়ার পুনঃপুন হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া গত সপ্তাহেই পিয়ংইয়ংয়ের ফের ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে এ অঞ্চলে কার্যত যুদ্ধাবস্থা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এছাড়া সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনীর সঙ্গে যৌথ এক সামরিক মহড়ায় দুটি মার্কিন বোমারু বিমানের অংশ নেয়াকে রুটিন অপারেশন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এর আগে, দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপিত অত্যাধুনিক মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ কয়েকদিনের মধ্যেই চালু হবে বলে জানিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, উত্তর কোরিয়ার যেকোনো আক্রমণ থেকে দক্ষিণ কোরিয়া ও সেখানে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের রক্ষার জন্য বিশেষভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি তৈরি এবং স্থাপন করা হয়েছে।

গত বুধবার সকালে সামরিক যানে করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের আড়াই শ কিলোমিটার দক্ষিণের একটি গলফ কোর্সে নিয়ে যাওয়া হয় থাডের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। পরে সেখানেই স্থাপন করা হয় এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। থাড হচ্ছে টিএইচএএডি বা ‘টার্মিনাল হাই-অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স’ কথাটির সংক্ষেপ। শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করার একটি ব্যবস্থা এটি। তবে এটিকে এ বছরের শেষের আগে ব্যবহার করা হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পরিবহণকালে স্থানীয় কয়েকশ বাসিন্দা বিক্ষোভ করেন। এছাড়া চীনও হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছে, থাড এই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।

বেইজিং বলছে, ওয়াশিংটনের এমন সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়াকে তেমন প্রভাবিত করতে পারবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমিতে ‘থাড’ মোতায়েনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে এর আগে রাশিয়া এবং চীন বলেছে, এর বিরুদ্ধে তারা সম্মিলিত অবস্থান জোরদার করবে। বিবিসি।