ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিখ্যাত ছানামুখীর ইতিহাস
---
বিশেষ প্রতিনিধি : বৃটিশ রাজত্বকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিষ্টি, ছানামুখীর সুখ্যাতি দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিষ্টির সুনামের পেছনে যে ব্যক্তির নাম জড়িত তিনি হলেন মহাদেব পাঁড়ে। মহাদেব পাঁড়ের জন্ম কাশী ধামে হলেও বড় ভাই দূর্গা প্রসাদের দোকানে মিষ্টি তৈরি করতে কলকাতায় আসতেন কিশোর মহাদেব। কিন্তু বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর আশ্রয়হীন হয়ে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় তিনি চলে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
শতাধিক বছর পূর্বে তখন শহরের মেড্ডার শিবরাম মোদকের একটি মিষ্টির দোকান ছিল। তিনি মহাদেবকে আশ্রয় দিলেন। মহাদেব আসার পর শিবরামের মিষ্টির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যুর সময় শিবরাম তাঁর মিষ্টির দোকানটি মহাদেবকে দিয়ে যান।
জানা যায় যে, ভারতের বড়লাট লর্ড ক্যানিং এর জন্য একটি বিশেষ ধরনের মিষ্টি তৈরী করে পাঠানো হয়েছিল কলকাতায়। লর্ড ক্যানিং এবং স্ত্রী লেডী ক্যানিং এ মিষ্টি খেয়ে খুব প্রশংসা করেছিলেন। এরপর এ মিষ্টির নাম রাখা হয় ‘লেডি ক্যানিং’ মিষ্টি বর্তমানে যা ‘লেডি ক্যানি’ বা স্থানীয় ভাবে ‘লেডি গ্যানি’ নামে পরিচিত। তাঁর(মহাদেব পাঁড়ে) তৈরী আর একটি মিষ্টির নাম ‘ছানামুখী’। এ ছানামুখী বাংলাদেশের অন্য কোথাও তৈরী করতে পারে না। এ ছানামুখীর সুনাম এখনও দেশ বিদেশে অক্ষুন্ন রয়েছে। ১৯৮৬ সনে ইসলামাবাদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্রত অফিসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াঊল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লেডী ক্যানি খেয়ে উচ্ছ্বখিত প্রশংখা করেছিলেন যা পাকিস্তানের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।