আকতার হোসেন ভুইয়া : প্রতিবছরের ন্যায় আনন্দঘন পরিবেশে উপজেলার আঠাউরী বিলে ভাটিবাংলার ঐতিহ্যবাহি দিনব্যাপী জাল বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার আঠাউরী বিলের বার্ষিক জাল বাইচ উপলক্ষে নাছিরপুর লঙ্গণ নদীর পাড়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ধীবর সমবায় সমিতির সভাপতি কালী চরণ দাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শিশির দাসের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ রেজওয়ানুর রহমান । বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী,সদর সার্কেল আবদুল করিম,থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু জাফর,উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজিরুল ইসলাম,উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বেলাল হোসেন মজুমদার,অরুন জ্যোতি ভট্রাচার্য। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে আঠাউরী বিলে জাল বাইচের উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, প্রায় শত বছরেরও বেশী সময় ধরে ঐতিহ্যবাহি পলো বাইচের পাশাপাশি ‘জাল বাওয়া”উৎসব পালন করে আসছে নাসিরনগর ও ভিটাডুবি গ্রাম ধীবর সমবায় সমিতির অর্ন্তভূক্ত কয়েক গ্রামের জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।এ জাল বাইচে শত শত জেলে জাল নিয়ে অংশগ্রহন করে। তাদের হাতে ছিল বেড় জাল, ঠেলা জাল, বাদাই জাল, লাঠি জাল,টানা জালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। বিলপাড়ে সমবেত হওয়ার পর একসাথে বিলে নেমে মাছ ধরার আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, বিল থেকে বর্ষার পানি প্রায় নিঃশেষ হবার পথে। মূল বিল, খালে কিছু অবশিষ্ট পানি রয়েছে। এমন সময় এ এলাকার উৎসব প্রিয় জেলেরা যোগ দিয়েছেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবে। মাছ পাওয়া না পাওয়া তাদের কাছে বড় কথা নয়, ব্যতিক্রমী এ উৎসবে যোগ দিয়ে আনন্দ উপভোগই যেন তাদের কাছে মুখ্য। তবে আগের মতো দেশীয় মাছ এখন পাওয়া যায় না এমন অভিযোগ করলেন অনেকে। বহু বছর ধরে চলে আসা এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন।