g ব্রাহ্মনবাড়িয়া রেলষ্টেশনে ভিতরে-বাহিরে সন্ধ্যার পর যেন ভূতুরে ষ্টেশন | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ১৯শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মনবাড়িয়া রেলষ্টেশনে ভিতরে-বাহিরে সন্ধ্যার পর যেন ভূতুরে ষ্টেশন

AmaderBrahmanbaria.COM
ডিসেম্বর ১, ২০১৬

---

নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মনবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন গড়ে প্রতিদিন  কয়েক হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে থাকে। রেলষ্টেশন এলাকায় যাত্রী সাধারনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লাগানো হয়েছে সিসিক্যামেরা, রেলওয়ে পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ষ্টেশনে অপরাধীদের আনাগোনা কমে গেলেও প্রায়ই সন্ধ্যার পর চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে চলতি ট্রেন হতে ছিনতাইয়ের ঘটনা শোনা যায়। ভিতরে -বাহিরে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক বাতির অভাবে সন্ধ্যার পর পশ্চিম দিকে প্লাটফর্মের ছাউনির বাহিরের অংশ এবং পূর্বদিকের ছাউনির বাহিরের অংশ যেন ভূতুরে ঘর অর্থাৎ  অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।আর এই সুযোগে  ছিনতাইকারীরা ট্রেনে উঠে যাত্রীদের মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ি ধীরগতিতে থাকা অবস্থায় প্লাটফর্মের শেষ মাথায় অন্ধকারে নেমে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে সন্ধ্যার পরে মাদকসেবী, চোরাকারবারি, ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায় ষ্টেশনের পুর্ব ও পশ্চিমের রেল এলাকা। চলে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন যাত্রী অথবা পথচারি ছিনতাইয়ের স্বীকার হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন ফাঁড়ি ইনচার্জ অফিসার এস আই সানাউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘’ অনেক সময় ট্রেন মেইন প্লাটফর্ম অতিক্রম করার পর অন্ধকার অংশে যাত্রীদের টাকা পয়সা, গহনা, ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে ছিনতাইকারিরা পালিয়ে যায়। যাত্রীদের চিৎকার ও শোরগোলের শব্দ পেয়ে জিআরপির সদস্যরা সেদিকে দৌড়ে গেলেও অন্ধকারের জন্য অপরাধীরা সহজেই পালিয়ে যায়, অনেক সময় ধরা পড়ে। ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও অধিকাংশ ল্যাম্পপোস্টেই বৈদ্যুতিক বাতি নেই। ষ্টেশন এলাকার ল্যাম্পপোষ্টগুলোতে বৈদ্যুতিক বাতি থাকলে অপরাধীরা কোন অপরাধ করার সাহস পেতো না। কেউ কোন অপরাধ করলে সহজে সনাক্ত করা যেত। গত ৪ মাসে একাধিকবার ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশনমাষ্টার মোঃশোয়েব এবং রেলওয়ে বিদ্যুতের আখাউড়া জোনের উপ সহকারি প্রকৌশলী মনোজ মিত্রকে জানানোর পরেও লাইটপোষ্টগুলোতে বাতি সরবরাহ করা হয়নি।‘’
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশনমাষ্টার মোঃ শোয়েব মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,’’ অনেক সময় বাতি লাগানোর পরে ঢিল ছুড়ে তা নষ্ট করে ফেলে দুষ্কৃতিকারিরা । যেখানে যেখানে বাতির প্রয়োজন তার তালিকা করে কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবগুলো ল্যাম্পপোষ্টে বাতি লাগানো হবে”।
এই বিষয়ে রেলওয়ে বিদ্যুতের আখাউড়া জোনের উপ সহকারি প্রকৌশলী মনোজ মিত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও বাস্তবে সমস্যার সমাধান হয়নি।

এ জাতীয় আরও খবর