অনলাইন ডেস্ক : মলের বর্ণ শারীরিক বিভিন্ন অবস্থাকে নির্দেশ করে। স্বাভাবিক মলের বর্ণ হালকা বা বাদামী বর্ণের হয়। মলের বর্ণ পরিবর্তন হতে পারে স্বাভাবিক কারণে অথবা শারীরিক কোন সমস্যার জন্য। মলের বর্ণ পরিবর্তন খাদ্য বা পানীয়ের জন্য অথবা কোন অসুস্থতা যেমন- ডায়েট, পিত্তথলির রোগ, সিলিয়াক রোগ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রন্স ডিজিজ, ডাইভারটিকুলার ডিজিজ, ক্যান্সার অথবা অর্শ রোগের কারণে হয়ে থাকে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই চলুন।
১। গন্ধহীন ও আঠালো নয় এমন কালো মলঃ-
আয়রন ট্যাবলেট অথবা বিসমাথ বা বিসমাথ সাবসেলিসাইলেট সমৃদ্ধ ঔষধ সেবন করলে গন্ধহীন ও আঠালো নয় এমন কালো বর্ণের মল নির্গত হয়।
২। আলকাতরার মত কালো, দুর্গন্ধযুক্ত ও আঠালো মলঃ-
আলসার বা গ্যাস্ট্রাইটিস এর কারণে পাকস্থলী বা অন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ হলে দুর্গন্ধযুক্ত ,আঠালো ও কালো বর্ণের মল নির্গত হয়। রক্ত ও অন্ত্রের পাচক রসের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে মলের বর্ণের পরিবর্তন হয়।
৩। লাল বা মেরুন মলঃ-
অন্ত্রের শেষ প্রান্ত থেকে রক্তক্ষরণ হলে মলের বর্ণ লাল বা মেরুন হতে পারে। রক্তের সাথে এনজাইমের বিক্রিয়া হওয়ার জন্য খুব কম সময় পায় ফলে মলের বর্ণ লাল বা মেরুন হয়।
৪। ধূসর বা কাদামাটির বর্ণের মলঃ-
মলে কোন পিত্তরস না থাকলে মলের বর্ণ ধূসর বা কাদামাটির মত হয়। পিত্তরস অন্ত্রে প্রবেশের পথে যদি বাঁধার সৃষ্টি হয় টিউমার বা পিত্ত পাথরের কারণে তাহলে মলের বর্ণ এমন হয়।
৫। হলুদ বর্ণের মলঃ-
চর্বি ঠিকমত হজম না হলে মলে চর্বির উপস্থিতির কারণে মলের বর্ণ হলুদ হয়। দীর্ঘস্থায়ী প্যানক্রিয়েটাইটিস, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, অগ্নাশয়ের ক্যান্সার বা সিলিয়াক রোগের কারণে এমন হতে পারে।
৬। সবুজ মলঃ-
সবুজ শাকসবজি এবং বেগুনী বা সবুজ রঙ মেশানো খাবার খেলে মলের বর্ণ সবুজ হয়। ডায়রিয়া হলে খুব দ্রুত অন্ত্রের মধ্য দিয়ে মল নির্গত হয় যার ফলে বিলিরুবিন মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক পরিবর্তনের জন্য খুব কম সময় পায় বলে মলের বর্ণ এমন হয়।