ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাল খনন কাজ চলছে: খুশি কৃষকরা (ভিডিও)
---
আধূনিক সেচ ব্যবস্থার আওতায় কৃষকরা কম খরচে সেচ সুবিধা পেতে খাল পুন:খনন ও খননের মাধ্যমে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতের করে সেচ এলাকা বৃদ্ধি মধ্যমে অধিক ফসল উৎপাদন ও অর্থনৈতিক ভাবে কৃষকরা যেন স্বাবলম্বি হতে পারে এজন্য সরকার আধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে তেমনি কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুই উপজেলা সদর ও বিজয়নগরে আধুনিক সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জমিতে কম খরচে সেচ প্রদানে তিতাস নদীর মোহনা থেকে খাল খনন ও পুন:খননে ভ’গর্বস্থ সেচ নালা নির্মানের কাজ চলছে। কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে প্রায় সাড়ে ৬কোটি টাকা ব্যায়ে তিন বছরে ২৬কিলোমিটার খাল খনন ও পুন:খনন, ৩৯টি সেচ নালা নির্মান, ১০টি ওয়াটার পাস এবং সেচের দক্ষতা ও সেচের সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের বিশেষ প্রশিক্ষন কর্মসূচি বাস্তবায়নে আধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে সদর উপজেলার চিনাইর-চাপৈর ৬কিলোমিটার দৈঘ্য খাল খনন ও পুন:খননের কাজ শুরু হওয়ায় কৃষকদের মাঝে প্রানচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। চলতি মওসুমে কয়েক কিলোমিটার খাল খনন হওয়ায় অনেকে সেচ সুবিধা পেয়েছে। সেই সাথে খাল খননের মাটি দিয়ে সড়ক অবকাঠামো নির্মিত হওয়ায় কৃষকের ফসল পরিবহন সহজ হয়েছে। তবে কাজের গুনগত মাননিয়ে স্থানীয়দের মাঝে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সেচেরই সুবিধা সহ জলাবদ্ধতা দূরিকরনেও অনেকটা সহায়ক হবে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এলাকার ৪শত হেক্টর জমি সেচের সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী।
কোন ধরনের অনিয়ম করে বর্তমান কৃষি বান্ধব সকারের সাফল্য ও উন্নয়ন ধারাকে বাধা গ্রস্ত করতে না পারে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় কৃষকদের।
71news.tv