মঙ্গলবার, ৩০শে জানুয়ারি, ২০১৮ ইং ১৭ই মাঘ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জেনে নিন দ্রুত বীর্যপাতের কারণ ও সমাধান

ejclusiopn-500x264স্বাস্থ্য ডেস্ক : মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত একটি বড় সমস্যা। বেশ কিছু কারনে এই সমস্যা হতে পারে। কারো এ সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে তাই এর কারনগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

১. অত্যধিক হস্তমৈথুন করা দ্রুত বীর্যপাত সমস্যার অন্যতম কারন। বিশেষ করে বাল্যকালে যখন একটি ছেলে হস্তমৈথুন করার উপায় আবিস্কার করে, স্বভাবতই সে এর ভিন্নধর্মী আনন্দের অনুভূতির প্রতি বেশ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আর বাল্যকালে, যেসময় একটি ছেলের বিভিন্ন মানসিক অনুভুতি তীব্রভাবে বিকশিত হতে থাকে, ঠিক সেসময়ই এই দারুন আনন্দের সন্ধান পেয়ে যখন ছেলেটি হস্তমৈথুন করে তখন সে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যায়। এত কম বয়েসে এ ধরনের দৈহিক আনন্দের অনুভুতির সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক পরিপক্কতা ছেলেটির থাকে না। ফলে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তার বীর্যপাত হয়।

ফলে ছেলেটি এভাবেই বারবার হস্তমৈথুন করতে করতে দ্রুত বীর্যপাতের অভ্যাস গড়ে তোলে। আর এছাড়া শুধু বাল্যকালেই নয়, যারা একটু বড় হয়ে হস্তমৈথুন শুরু করেন, তাদের মাঝেও প্রথম প্রথম এটা করার সময় দেখা যায় এতে ধরা পড়ে যাওয়ার একটা ভয় কাজ করে, কারন অত্যধিক হস্তমৈথুন যারা করেন তারা দেখা যায়, যে কোন কাজের ফাকেও কোন কারনে উত্তেজিত হয়ে উঠলে বাথরুমে গিয়ে দ্রুত উত্তেজনা হাল্কা করে নিতে চেষ্টা করেন। এভাবে সামান্য সময়ের জন্য বাসা খালি পেয়ে অথবা বাথরুমে হস্তমৈথুন করতে গিয়ে মনের মধ্যে যে তাড়া কাজ করে তা দেহের মাঝেও সঞ্চারিত হয়। ফলে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়। আর এভাবে অভ্যাস করতে করতেই পাকাপাকিভাবে দ্রুত বীর্যপাত করার প্রবনতা হয়ে যায়।

২. মানসিক অশান্তি, ভয়, দুশ্চিন্তা এসব কিছু দ্রুত বীর্যপাতের অন্যতম কারন। ভয় পেলে ছোটকালে মানুষ যে কারনে প্যান্ট ভিজায় ঠিক একই কারনে, বয়স্কালে দ্রুত বীর্যপাতও হয়ে থাকে। যখন মানুষ ভয় পায়, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে বা কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে থাকে তখন তার শ্বসনহার ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। ফলে যে নার্ভগুলো বীর্স্খলনের উদ্দিপনা যোগায় সেগুলো অতি সহজেই আন্দোলিত হয়ে বীর্যস্খলন হয়ে যায়।

৩. নিজের অনুভুতি সম্পর্কে ভালো ধারনা না থাকার কারনে সবচেয়ে বেশি মানুষের এ সমস্যা হয়। বেশিরভাগ মানুষেরই জীবনের প্রথম বীর্যপাত, তা যৌনমিলন বা হস্তমৈথুন যেভাবেই হয়ে থাকুক না কেন, তা তুলনামূলক দ্রুত হয়। কারন এসময় নিজের দেহের যৌনানুভুতি সম্পর্কে কারো স্পষ্ট ধারনা থাকে না। ফলে তা পরেও আর নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা ছেলেটি আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলে। যৌনতাকে উপভোগ করার প্রথম কথা হল এটা হতে হবে রিলাক্স মুডে। পশ্চিমা দেশগুলোতে ছেলেদের হস্তমৈথুন করা নিয়ে আমাদের মত হাজার হাজার ভুল ধারনা নেই বললেই চলে। তাই তারা বেশ আয়েশের সাথে হস্তমৈথুন করে এমনকি গার্লফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করে করেও নিজের যৌনানুভুতি সম্পর্কে সচেতন হয়। ফলে তারা একে নিয়ন্ত্রন করে তাদের বীর্যপাতকে বিলম্বিত করে দীর্ঘ ও আনন্দময় মিলনে মগ্ন হয়।

৪. জীবনে প্রথমবারের মত কারো সাথে সেক্স করতে গেলে একটি ছেলের মধ্যে নিম্নের বেশ কয়েকটি অনুভুতি কাজ করতে পারেঃ সঙ্গিনীর সামনে নগ্ন হতে লজ্জাঃ অনেকে হয়ত এটা হেসেই উড়িয়ে দেবেন। কিন্ত অনেক সময় প্রথমবারের মত প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কারো সামনে নগ্ন হতে অবচেতন মনে হলেও অনেক ছেলের লজ্জা কাজ করতে পারে; বিশেষ করে এর ক্ষেত্রে এমনটি হয়। এই লজ্জার ফলে যৌনাঙ্গসমূহে স্নায়ু শিহরনের কারনে তা বীর্যপাতকে ত্বরান্বিত করে যা সঙ্গিনীর কাছে ছেলেটির লজ্জাকে দ্বিগুন করে দেয়। তাই পরবর্তী মিলনেও এ সমস্যা বারবার হতেই থাকে।

৫. জীবনে প্রথম নারীদেহ স্পর্শের অতিউত্তেজনাঃ জীবনে প্রথমবারের মত কোন নারীদেহকে স্পর্শ করা একটি ছেলের কাছে দারুন উত্তেজনাপূর্ন হবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্ত কোন রকম প্রস্তুতি, আয়োজন ও মেয়েটির সাথে ভাবের আদান-প্রদানের একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে উঠার আগেই দুজনে যৌনমিলনের দিকে ধাবিত হলে (আবারও, এর ক্ষেত্রে এটা বেশি হয়) হুট করে মেয়েটির উত্তেজনাপূর্ন সান্নিধ্য পেয়ে ছেলেটি অতিউত্তেজিত হয়ে পড়তে পারে। যার ফল……আবার সেই দ্রুত বীর্যপাত।

৬. পর্যাপ্তর অভাবঃ সেক্স সম্পর্কে যাদের ধারনা বলতে ‘রসময় গুপ্তের চটি’ আর কিছু হলিউডিতারা প্রথমবার সেক্স করতে গিয়ে প্রকৃত এর দিকে তেমন নজর দেয়না। মূলত কত দ্রুত সঙ্গিনীর উরুসন্ধিতে তার আইফেল টাওয়ারকে নিয়ে যাবে সেদিকেই তাদের নজর বেশি থাকে। ফলে পর্যাপ্ত উত্তেজিত না হয়েই। বিশেষ করে লিঙ্গে সঙ্গিনীর হাতের ছোয়া, আদর এসব না পেয়েই সরাসরি তাতে যোনির উষ্ঞ স্পর্শ বেশিক্ষন সহ্য করা কি সম্ভব? আবারো তাই একই ফলাফল। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক কারনেও দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা হতে পারে।

যেমনঃ হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা মস্তিস্কে নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ এবং সংক্রমন।