জেনে নিন মাউথ ওয়াশের কিছু ব্যতিক্রমী ব্যবহার
---
১৮৭৯ সালে Dr. Joseph Lawrence অস্ত্রোপচারের সময় অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে প্রথম লিস্টেরাইন মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করেন। মাউথ ওয়াশ মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে জানার পর থেকেই মাউথ ওয়াশ ফার্মেসিতে বাজারজাত করা হয়। মাউথ ওয়াশ শুধু মুখের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে না, আরো অনেক কাজে ব্যবহার করা যায়। মাউথ ওয়াশের কিছু বিকল্প ব্যবহারের বিষয়ে আমরা জেনে নিই আসুন।
১। বেশিরভাগ মাউথ ওয়াশে ছত্রাকরোধী উপাদান ইউকেলিপ্টল থাকে যা মেলাসেজিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে। Life Hacker এর মতে, খুশকি দূর করার জন্য পানির সাথে মাউথ ওয়াশ ও উইচ হেজেল মিশিয়ে শ্যাম্পু করার পর মাথায় ব্যবহার করুন। যদি মাথায় কোন কাটা বা স্ক্র্যাচ থাকে তাহলে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করবেন না।
২। KilmerHouse.com এর মতে, ‘মাউথ ওয়াশ জীবাণু রোধক, প্রতিষেধক, দুর্গন্ধ নাশক, অবিষাক্ত, অযন্ত্রণাদায়ক, সম্পূর্ণ নিরাপদ, উপযোগী ও বৈজ্ঞানিক’। মাউথ ওয়াশে ইউকেলিপ্টল, মিথাইল সেলিসাইলেট এবং থাইমল থাকে যা বগলের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে।
৩। শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে ওই স্থানে মাউথ ওয়াশ লাগালে জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৪। মোজা ও দুর্গন্ধ হয় এমন কাপড় ধোয়ার সময় পানির সাথে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুন, গন্ধ দূর হবে।
৫। নখে ফাঙ্গাসের আক্রমণ হলে সমপরিমাণ মাউথ ওয়াশ ও সাদা ভিনেগার মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে নখের ফাঙ্গাস দূর হবে।
৬। রসুন কাটার পর হাতের গন্ধ দূর করার জন্য তুলার মধ্যে মাউথ ওয়াশ লাগিয়ে হাত মুছুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। হাত থেকে রসুনের গন্ধ দূর হবে।
৭। ত্বকের কালো দাগ দূর করার জন্য মাউথ ওয়াশ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৮। শরীরের কোন জায়গায় বিষাক্ত কিছু লাগলে মাউথ ওয়াশ লাগালে চুলকানি ও জ্বালা পোড়া বন্ধ হয়।
৯। মাউথ ওয়াশ নখের ফাঙ্গাস যেভাবে নির্মূল করে সেভাবেই পায়ের রোগ ‘অ্যাথলেট ফুট’ কেও নিরাময় করতে পারে।
১০। মুখ ধোয়ার পরে কটন বলে মাউথ ওয়াশ লাগিয়ে পুরো মুখে লাগান, তারপর ধুয়ে ফেলুন। ফেসিয়াল করার মত মুখ পরিস্কার করবে। এতে আপনার কিছু টাকাও বেঁচে যাবে।
১১। পানির সাথে মাউথ ওয়াশ ৩:১ অনুপাতে মিশিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে ছাতা পড়া গাছে স্প্রে করুন। গাছ চিতি ও ছত্রাক মুক্ত হবে।
এছাড়াও টুথ ব্রাশ, গ্লাস, টাইলস, টয়লেট ইত্যাদি পরিষ্কার করতে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করুন।