ধূমপান ছাড়তে চান? তাহলে জেনেনিন কিছু উপায়
---
‘ধূমপান বিষপান’- এই কথাটি আমাদের সবার জানা। তারপরেও অনেকেই ধূমপান করে থাকেন। আপনি চেইন স্মোকার হন বা টিন স্মোকার, হুট করে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাটা আপনার জন্য কষ্টসাধ্য। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য অনেকগুলো উপায় রয়েছে। কিন্তু সব উপায় সবার ক্ষেত্রে কার্যকর হয় না। তাই আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনার উপায়টি। তবে হ্যাঁ, ধূমপান ত্যাগ করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে আন্তরিক ইচ্ছার। এবং আরও কিছু বিষয় আছে যা আপনাকে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে সাহায্য করবে।
১। একটি তালিকা তৈরি করুন
আপনি ধূমপান কেন পছন্দ করেন? ধূমপানের কোন দিকটা আপনার খারাপ লাগে? এই বিষয়গুলো নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। যার একপাশে ধূমপানের সব ইতিবাচক দিক আরেকপাশে নেতিবাচক দিক লেখা থাকবে। আপনি যখন দেখবেন ইতিবাচক দিক নেতিবাচক দিকের থেকে বেশি হয়ে গেছে তখন আপনি ধূমপানের প্রতি কিছুটা হলেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। যা আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে সাহায্য করবে।
২। একটি তারিখ নির্দিষ্ট করুন
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি তারিখ নির্দিষ্ট করুন, যেদিন থেকে আপনি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করবেন। এই দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনি নিজের মনকে ধূমপান ছাড়ার জন্য প্রস্তুত করে নিন। যদি আপনি কর্মক্ষেত্রে বেশি ধূমপান করেন। তবে আপনি আপনার ছুটির দিনটিকে ধূমপান ছাড়ার জন্য নির্বাচন করুন।
৩। আপনার বন্ধু, পরিবারকে বলুন
আপনার বন্ধু, পরিবার বা কাছের মানুষটিকে জানান এবং বলুন ধূমপান ছাড়তে আপনার তাদের সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। সবচেয়ে ভাল হয় এমন একজন বন্ধু খুঁজে বের করুন যে নিজেও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাচ্ছে।
৪। ভবিষ্যৎ সমস্যা অনুমান করে রাখুন
অধিকাংশ মানুষ ধূমপান ত্যাগের তিন মাসের মধ্যে আবার ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আপনাকে কী কী চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হতে পারেন, সেটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিন। নিকোটিনের বিকল্প গাম, লজেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এতে কিছুটা হলেও ধূমপানের নেশা কমে যাবে।
৫। বাসা, গাড়ি, অফিস সব স্থান থেকে সিগারেটের প্যাকেট সরিয়ে রাখুন
বাসা, গাড়ি বা অফিস যেসব স্থানে সিগারেট রাখতেন সেখান থেকে সিগারেট, লাইটার, স্ট্রে সরিয়ে ফেলুন। এমনকি যেসব কাপড় থেকে সিগারেটের গন্ধ আসে সেগুলো ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। গাড়ি, কার্পেট, ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সিগারেটের গন্ধ আসতে পারে এমন কিছু ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
৬। চিকিৎসকের সাহায্য নিন
সিগারেট ছাড়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোন ধরণের থেরাপি বা মেডিটেশন ছাড়া হুট করে সিগারেট ছাড়া উচিত নয়। সিগারেটের নিকোটিনের ওপর আপনার শরীর অনেক বেশি নির্ভর হয়ে পড়ে। তখন শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দেয়। তাই সিগারেটের বিকল্প কিছু চিন্তা করা উচিত।
প্রচলিত আছে মানুষ অভ্যাসের দাস। কিন্তু মানুষের ইচ্ছা শক্তির কাছে অভ্যাসও হার মেনে যায়। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য আপনার ইচ্ছাশক্তিটির প্রয়োজন। চেষ্টা করুন আপনিও পারবেন এই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। মএন রাখবেন ধূমপান শুধু আপনার নিজের ক্ষতি করছে না, আপনার পাশের মানুষটিও এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।