g অল্প সময়ে ধনী হয়ে ওঠার ১০ কৌশল | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ২৬শে ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

অল্প সময়ে ধনী হয়ে ওঠার ১০ কৌশল

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ১৪, ২০১৫

---

ধনী হতে কে না চায় বলুন? কিন্তু এটা তো আর ছেলের হাতের মোয়া নয় যে চাইলেই ধনী হওয়া যাবে। খুব সহজ কৌশলে কিন্তু আপনি, হ্যাঁ আপনিও হয়ে উঠতে পারেন আগের চাইতে ধনী। জেনে নিন এমন ১০টি মজার কৌশল।
সবাই বছরের শুরুতে এমনকি মাসের শুরুতেই ভাবেন এটা সেটা করবেন যাতে টাকা কম খরচ হয় এবং বেশি জমে। কিন্তু বছরের শেষে দেখা যায় যে কে সেই, পকেট ফাঁকা। কিন্তু জীবন যাপনে ছোট কিছু পরিবর্তন আনুন, এতে টাকা পয়সা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যাবে এবং আপনিও হতে পারবেন ধনী।
১) ফান্ডে টাকা জমান বেশি করে

অফিসের গ্র্যাচুইটি ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড অথবা অন্যান্য ফান্ডে টাকা জমানোর ব্যবস্থা থাকে। এসব ফান্ডে টাকা আরেকটু বেশি করে জমানোর ব্যবস্থা করে ফেলুন। যেহেতু বেতন থেকেই এই টাকা কাটা হয় সুতরাং আপনার হাতে এসে টাকা খরচ হয়ে যাবার ভয় নেই। বছর শেষে দেখবে বেশ মোটা অংকের টাকা জমা আছে সেখানে।
২) ফান্ড ছাড়াও জমান টাকা

আপনার অফিসে যদি এভাবে টাকা জমানোর উপায় না থাকে, বা ফান্ড ছাড়াও টাক আজমাতে চান তাহলে প্রতি মাসের শুরুতে বেতন থেকে নিজেই কিছু টাকা আলাদা করে একটা একাউন্টে জমিয়ে রাখুন যেখানে আপনি হাত দেবেন না মোটেই।
৩) তিনটি খরচ বাদ দিন

আমরা দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু খরচ করে থাকি যা আসলে না করলেও চলে। যেমন অব্যবহৃত জিম মেম্বারশিপ, নিয়মিত ম্যাগাজিন নেবার খরচ ইত্যাদি। এমন অপ্রয়োজনীয় মাত্র তিনটি খরচ বাদ দিন। এগুলো বাদ দেবার ফলে আপনি আরও বেশি টাকা জমানোর সুযোগ পাবেন।
৪) ক্রেডিট কার্ড বাড়িতে রেখে আসুন

অনেকেই কেনাকাটা করার সময়ে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে যথেচ্ছ খরচ করেন, কারণ টাকা অফুরন্ত! কিন্তু ক্রেডিট কার্ড বাসায় রেখে বের হলে আপনার সীমিত একটি বাজেটের মাঝেই খরচ করতে হবে ফলে অপ্রয়োজনীয় খরচ খুব কমে যাবে। ক্রেডিট কার্ড শুধুমাত্র খুব জরুরী খরচের জন্য ব্যবহার করুন।
৫) নতুন করে দেনা সৃষ্টি করবেন না

এক বছরের মাঝে আগের চাইতে ধনী হতে হলে নতুন করে এমন কিছু করবেন না যাতে দেনা তৈরি হয়। কোনো কিছু কিনলে তার দাম দ্রুত মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করুন। আর পুরনো দেনা থাকলে দ্রুত তা মিটিয়ে ফেলুন। সবচাইতে ছোট দেনাটা আগে শোধ করে ফেলুন। এভাবে একে একে দেনা মিটিয়ে ফেললে আর চিন্তা থাকবে না।
৬) জীবন যাপনের খরচ কমিয়ে ফেলুন ১০%

এই খরচ কমানোটা খুব কষ্টকর মনে হতে পারে। এমনকি অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতে পারে কারও কারও জন্য। কিন্তু গড়ে ১০ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে সব খরচ। যেমন কিছু খাবার পাইকারি দামে কিনে আনতে পারেন, বিলাসিতার কিছু জিনিস ব্যবহার কমাতে পারেন ইত্যাদি।
৭) বেতনের ১০% জমান

বেতন যতই হোক, তার ১০ শতাংশ জমিয়ে রাখার চেষ্টা করুন প্রতি মাসেই। এতে হয়তো প্রতি মাসে কিছু খরচ কমবে কিন্তু একাউন্টে টাকা জমতে দেখলে আপনার নিজেই ভালো লাগবে।
৮) অব্যবহৃত জিনিস বিক্রি করে দিন বা দান করে দিন

যে জিনিসগুলো অনেকদিন ব্যবহার করেন না বা দরকার হচ্ছে না সেগুলো বিক্রি করে দিন যতো দ্রুত সম্ভব। বিক্রি করতে না পারলে দান করে দিন।
৯) এই বছরে ছুটি কাটাতে যাবেন না

অনেকে প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট সময় ছুটি কাটান শহরের বাইরে। এই বছর না হয় এই ছুটিতাকে বাদই দিন। এতে মনটা খারাপ লাগবে বয়তে। কিন্তু এই ছুটির পেছনে যে কতগুলো টাকা খরচ হয়ে যেত তা বেঁচে যাবে। কিছুটা ত্যাগ ছাড়া যে ধনী হওয়া যায় না তা তো বোঝেনই আপনি।
১০) বাজেট মেনে চলুন

প্রতি মাসের শুরুতেই একটা বাজেট ঠিক করে ফেলুন আর এই বাজেট মেনে চলুন কাঁটায় কাঁটায়। এতে টাকা জমানো সহজ হবে আর বাজে খরচ এত কমে যাবে যা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না।