বুধবার, ১৪ই জুন, ২০১৭ ইং ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

অফিসের যে কর্মীরা বসকে তেল দেন!

AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ১৭, ২০১৫

---

লাইফস্টাইল ডেস্ক : অফিসের বসকে তেলা মারা সহকর্মী আমাদের সকলেরই রয়েছে। বারবারই ভেবেছেন কেন এমন করে এরা? তাদের কোনও আত্মসম্মান নেই?

 


মনে এসব প্রশ্ন থাকলে জেনে নিন কেন বসকে তেল মারেন তারা:
যোগ্যতার অভাব : খেয়াল করে দেখবেন যারা বসকে তেল দেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা অফিসে অন্যদের তুলনায় কম মেধসম্পন্ন হন। কাজের ব্যাপারেও বিশেষ অভিনবত্ব থাকে না এদের, দক্ষতাও কম হয়। এই সব ঘাটতির কোনও একটা থাকলে, অথবা সব কটাই এক সঙ্গে হলে বসকে তেল দেন অনেকে।

 


ফাঁকিবাজি : বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অলস বা ফাঁকিবাজ মানুষরাই বসকে তেল দেন।কারণ বসের গুড বুকে থাকলে কম কাজ করেও বেশ বাহবা জুটে যায়।

 


উচ্চাকাঙ্ক্ষা : কেরিয়ার নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন থাকলে বসকে অনেকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চান। এরাও বসের পা চাটেন, আবার বসেরাও এদের ওপর নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। ফলে কেরিয়ারের সিঁড়ি চড়তে গিয়ে অনেক সময়ই ফেঁসে যান এরা।

 


আত্মসম্মানের অভাব : এই সব মানুষদের আত্মসম্মানের অভাব থাকে। এদের দিয়ে বস নিজের পাও টিপিয়ে নিতে পারেন, বাড়ির যে কোনও কাজ করিয়ে নিতে পারেন। আর এরা সে সব করেও দেন। এ দিকে এই মানুষরা কিন্তু সহকর্মীদের সঙ্গে বেশ বাজে ব্যবহার করেন। আর নিজের থেকে নীচু তলার কর্মীদের তো মানুষ বলেই মনে করেন না হয়তো। কোনও মানুষের সামগ্রিক ব্যবহার কেমন সেটাই কিন্তু তার ব্যক্তিত্বের পরিচয়

 


দুর্বলতা ঢাকতে : খেয়াল করলে দেখবেন যিনি বসকে তেল দিচ্ছেন তার কিছু না কিছু খামতি রয়েছে। হয়তো ইনি রোজ দেরি করে আসনে, কোনও কাজ যা জানা প্রয়োজন কিন্তু জানেনে না অথবা ইনি কোনও সমস্যায় রয়েছেন। এই সব খামতি বা ফাঁক পূরণ করতেও অনেকে বসতে হাতে রাখতে চান।

 


লালন পালন : প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বা চাকরি পেয়ে কোনও স্বভাব হঠাত্ গজিয়ে উঠতে পারে না। এরা ছোট থেকেই এটা শিখেছেন। স্কুল, কলেজে যারা শিক্ষক, অধ্যাপকদের পিছন পিছন ঘোরেন তারাই কর্মক্ষেত্রে গিয়ে বসকেও তেল দেন। এদের পরিবারের ইতিহাস ঘাঁটলেও হয়তো দেখবেন বাপ-ঠাকুরদার জীবনেও বসকে তেল দিয়ে উন্নতির ঘটনা রয়েছে।
তবে চিন্তা করবেন না। কাজ দিয়ে যদি বসের গুড বুকে থাকতে পারেন, তবেই থাকুন। মনে রাখবেন তেল দিলে পথ শুধু মসৃণই হয় না, পিচ্ছিলও হয়!

এ জাতীয় আরও খবর