g স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে নয়া বিতর্কে ক্রিকেটাররা | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ১৯শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ৪ঠা ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী-বান্ধবীদের নিয়ে নয়া বিতর্কে ক্রিকেটাররা

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১২, ২০১৫

---

‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ দশা এখন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সদস্যদের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে হেরে এমনিতেই সমালোচনার বিষাক্ত তীরে বিদ্ধ। ব্যর্থতার দায়ভার মাথায় নিয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। এজবাস্টন ও ট্রেন্ট ব্রিজে চরম ব্যর্থতার দায় নিজেরাই মাথা পেতে নিয়েছেন। কিন্তু এবার তাদের সমালোচনা হচ্ছে অন্য কারণে। স্ত্রী-বান্ধবী ও পরিবারের কারণেই ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার এই দশা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। অস্ট্রেলিয়া দলের প্রায় সব খেলোয়াড়ের স্ত্রী কিংবা বান্ধবী ইংল্যান্ড সফরে রয়েছে। আর তাদের সময় দিতে গিয়ে অজি খেলোয়াড়রা খেলায় পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারেনি বলে অভিযোগ সমালোচকদের। সবার আগে বিষয়টি সামনে এনেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটরক্ষক ইয়ান হিলি। তিনি অস্ট্রেলিয়া দলের এ অবস্থার জন্য সরাসরি খেলোয়াড়দের স্ত্রী-বান্ধবীদের ইংল্যান্ডে অবস্থানকে দায়ী করেছেন। এ ছাড়া ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’-এর ক্রীড়া কলামনিস্ট রেবেকা উইলসনও অস্ট্রেলিয়ার হারের জন্য একই কারণ সামনে এনেছেন। বিষয়টি এ দুজন সামনে আনার পর এখন আলোচনা একটাই। তবে অস্ট্রেলিয়া দলের খেলোয়াড়রা এমন অভিযোগ শুনে অবাক। অনেকে আবার এ কথার প্রতিবাদও করেছেন। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি তাদের স্ত্রীরাও এই তালিকায় আছেন। রেবেকা উইলসন অজি খেলোয়াড়দের স্ত্রী-বান্ধবীদের ‘আবর্জনার বোঝা’ বলে অভিহিত করেছেন। আর এই আবর্জনার স্তূপের নিচে চাপা পড়েই অস্ট্রেলিয়ার এই করুণ পরিণতি বলে মনে করেন তিনি। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল জনসনকে তিনি ব্যক্তিগতভাগেও আক্রমণ করেছেন। এ পেসারকে তিনি ‘অহংকারী’ ও ‘উদ্ধত’ বলে অভিহিত করেছেন। উইলসনের এ কথার জবাব টুইটে দিয়েছেন জনসন। স্ত্রী-বান্ধবীদের ইংল্যান্ডে উপস্থিতি নিয়ে তিনি লেখেন, ‘দেশের বাইরে যে কোন সফরেই তো স্ত্রী-বান্ধবীরা থাকে। কিন্তু যত অসুবিধা ইংল্যান্ড সফরেই হলো?’ আর জনসনকে অহংকারী বলায় তিনি বলেন, ‘রেবেকার সঙ্গে আমার কখনও কথা হয়নি। তাহলে তিনি কিভাবে আমাকে অহংকারী বলেন? এটা বলে তিনি তো নিজেই অহংকারীর পরিচয় দিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনি আমার স্ত্রী ও সন্তানের কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন। এসব বাদ দিয়ে খেলা বিষয়ে কিছু লেখেন।’ অন্যদিকে ইয়ান হিলির সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যান্ডিসে ফ্যালজন। স্ত্রীদের উপস্থিতিতে খেলোয়াড়রা মাঠে আরও উদ্বুদ্ধ হন বলে দাবি তার। বলেন, ‘খেলোয়াড়দের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাদের প্রস্তুত করা। স্ত্রীরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকলে তারা ভালভাবে প্রস্তুত হতে পারেন। মাঠে খেলার জন্য শতভাগ প্রস্তুতি নিতে পারেন তারা। অনেকেই বিষয়টা বুঝতে পারেন না। কিন্তু আমরা স্ত্রীরা মাঠে ভাল খেলার জন্য খেলোয়াড়দের অনেকভাবে সাহায্য করি। এ বিষয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারে ফালতু। আমি এখানে এসেছি শুধু ডেভিডকে সমর্থন ও  সাহায্য করার জন্য।’ স্ত্রী-বান্ধবী নিয়ে এতো ঝামেলার মধ্যে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) প্রধান নির্বাহী  অ্যালিস্টার নিকলসন। তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে লম্বা সফরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্ত্রী-বান্ধবীরা যায়। এতে খেলোয়াড়রা ইতিবাচক প্রেরণা পায়। দেশের মাটিতে খেলা হলে সাধারণত স্ত্রী-বান্ধবীদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের থাকতে অনুমতি দেয়া হয়। আর দেশের বাইরে সফরে পরিবেশ ও সফরের পরিবেশ ও পরিধি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লম্বা সফরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে অবশ্যই পরিবারের সদস্যদের থাকা ইতিবাচক।’

এ জাতীয় আরও খবর