শনিবার, ১লা জুলাই, ২০১৭ ইং ১৭ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কলেজের ফটক বন্ধ করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪

---

খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে হাতে দা নিয়ে দৌঁড়াচ্ছেন এক হামলাকারী। ছবি: সুমন্ত চক্রবর্তীখুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় তারা অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা চালায়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।clashm-300x240
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।লাঠি হাতে এক হামলাকারী। ছবি: সুমন্ত চক্রবর্তী।


সংবাদ সম্মেলনে পরস্পরকে দোষারোপ


ঘটনার পর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই পক্ষ। ছাত্রলীগের মহানগর কমিটির সভাপতি দেবদুলাল বাড়ৈ ওরফে বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক  শেখ শাহজালাল হোসেন ওরফে সুজন এবং তাঁদের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষের জন্য বহিরাগতদের দায়ী করেছেন।





কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আসাদুজ্জামান রাসেল ও ছাত্রলীগের মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম হোসেনুজ্জামান সংঘর্ষের জন্য দেবদুলাল ও শাহজালালকে দায়ী করেছেন।




সংঘর্ষ আহত এক ছাত্রলীগ কর্মী। ছবি: সুমন্ত চক্রবর্তী।শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বক্তব্য


ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত মিছিল শেষে ক্যাম্পাসে সমাবেশ করছিলেন কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মহানগর কমিটির সভাপতি বাপ্পী ও সুজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে রাসেলের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে কয়েক শ বহিরাগত ছিলেন। তাঁদের হাতে অস্ত্রশস্ত্র ছিল। এ সময় দুই পক্ষ উত্তেজক স্লোগান দিলে প্রথমে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পরে সংঘর্ষ শুরু হয়।





কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, রাসেলের সঙ্গে আসা বেশির ভাগই বহিরাগত ছিল। ফলে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তারা পিছু হটে। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের খুঁজে খুঁজে পেটাতে থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে রামদা, লাঠি, রড ও দেশীয় পাইপগান ছিল। তাদের লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাসেল, নগর কমিটির নেতা সালাউদ্দিন, জয়দেব, শাকিল, শাফিন, রবিউল, রায়হানসহ ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁদের অনেকের মাথা ফেটে গেছে। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। আহত ব্যক্তিদের সবাইকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে পুলিশ গেলেও তাদের সামনেই সংঘর্ষ চলে। 

আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন সাংসদ মিজানুর রহমান। সংঘর্ষে সামান্য আহত কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী জোবায়ের, অশেষ, আশিক, সবুজ ও আমিরকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য

এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে যায়। মূলত মিছিল করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয়। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’