বৃহস্পতিবার, ২২শে জুন, ২০১৭ ইং ৮ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন-অ্যাটলেটিকো

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ১২, ২০১৪

---

বাায়ার্ন-আর্সেনাল ম্যাচটি ছিল জার্মানময়। শোয়েনস্টাইগারের গোলে এগিয়ে গেল বায়ার্ন। ছবি: রয়টার্স

বাায়ার্ন-আর্সেনাল ম্যাচটি ছিল জার্মানময়। শোয়েনস্টাইগারের গোলে এগিয়ে গেল বায়ার্ন। ছবি: রয়টার্সনা, আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে গত মৌসুমের মতো এবার ‘তেমন’ কিছু করে দেখাত পারল না। চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগে আর্সেনালের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছিল বায়ার্ন। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে আর্সেনালকে তাই আজ বায়ার্নের মাঠে ফিরতি লেগে করতে হতো বিস্ময়কর কিছু। কিন্তু তেমন কিছুই করতে পারেনি গানাররা। তবে হ্যাঁ, আজকের ম্যাচে হারেনি অন্তত, ১-১ ড্র করেছে ওয়েঙ্গারের দল। তবে দুই লেগ মিলে যে ফল, তাতে বিদায় ঘন্টা বেজেছে ঠিকই। অন্যদিকে এসি মিলানকে উড়িয়ে ১৭ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে আজ বায়ার্ন-আর্সেনালের ম্যাচটিকে জার্মানময় বলাই শ্রেয়। প্রথমে ভেন্যুর কথাই ধরা যাক। খেলা হয়েছে বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। তার ওপর উভয় দলের গোলদাতাই জার্মান। এমনকি পেনাল্টি থেকে সহজ গোল হাতছাড়া করা খেলোয়াড়টিও জার্মান!

ম্যাচের প্রথমার্ধ্ব অবশ্য কিছুটা বিরক্তিকর খেলা উপহার দিয়েছে উভয় দল। খেলা জমেছে মূলত দ্বিতীয়ার্ধ্বে। ৫৫ মিনিটে ফ্রাঙ্ক রিবেরির পাস থেকে বাস্তিন শোয়েনস্টাইগারের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। এর দুই মিনিট পরেই লুকাস পোডলস্কি সমতায় ফেরান গানারদের। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পোডলস্কি গোল করেন ডি-বক্সে ফিলিপ লামকে ডজ দিয়ে। টিভি রিপ্লেতে বলা হচ্ছিল, লামকে পেছন থেকে মৃদু ধাক্কা দিয়েছেন পোডলস্কি। কিন্তু রেফারির দৃষ্টিতে সেটি ‘অপরাধযোগ্য’ হিসেবে মনে হয়নি।

এরপর ওয়েঙ্গারের মুখে আর হাসি এনে দিতে পারেনি শিষ্যরা। ৯০ মিনিটে দারুণ এক মওকা পায় বায়ার্ন। রোবেনকে ফাউল করে পেনাল্টি পেয়ে যায় গার্দিওলার দল। কিন্তু আর্সেনালের পোলিশ গোলরক্ষক ফাবিয়ানস্কির দুর্দান্ত সেভে ব্যর্থ হয়ে যায় টমাস মুলারের শট। ম্যাচ শেষে স্কোর লাইন বায়ার্ন ১:১ আর্সেনাল। দুই লেগ মিলে ওয়েঙ্গারের দলকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টারে ফাইনালে উঠে বায়ার্ন।

গত মৌসুমেও চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতেই মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন-আর্সেনাল। সেবারও প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৩-১ হেরেছিল আর্সেনাল। পরে বায়ার্নের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফিরতি লেগে জিতেছিল ২-০ গোলে। গানারদের কপাল পোড়ে অ্যাওয়ে গোলে পিছিয়ে থাকায়। এবার অবশ্য ২-০-তে জিতলে আর্সেনাল ম্যাচটা যেত অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু তা আর হলো কই?

জোড়া গোল করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিলেন কস্তা, তাই তাঁর উদযাপনও বাঁধনহারা। ছবি: রয়টার্সঅন্যদিকে মাদ্রিদের ভিসেন্তে ক্যালদেরনে এসি মিলানকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা খেলল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। যদিও ইতিহাস বলছিল ভিন্ন কথা। মিলান সাতবারের চ্যাম্পিয়ন আর অ্যাটলেটিকো ফাইনালেই খেলেছে মাত্র একবার। কিন্তু বাস্তবতার জমিন যে বড্ড কঠিন, সেটিই হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিল ডিয়েগো সিমিওনের দল।

মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় ডিয়েগো কস্তার অসাধারণ এক গোল। বাতাসে ভেসে আলতো করে বা পাঁয়ের ছোঁয়ায় কস্তা যে গোলটি মিলানের জালে জড়ালেন, এক কথায় দুর্দান্ত! ২৭ মিনিটে দৃষ্টিগ্রাহী এক হেডে রোজোনেরিদের সমতায় ফেরান কাকা। এরপর আগ্রাসী অ্যাটলেটিকোর সামনে আর খুঁজে পাওয়া গেল না মিলানকে। ৪০ মিনিটে আরদা তুরান, ৭০ মিনিটে রাউল গার্সিয়া, ৮৫ মিনিটে ফের কস্তা—মিলানের বুকে একে একে শেল মেরেই চলল সিমিওনের দল। চ্যাম্পিয়নস লিগে পাঁচ ম্যাচে কস্তার গোল ৭। ম্যাচের স্কোর লাইন অ্যাটলেটিকো ৪:১ মিলান। দুই লেগ মিলে ৫-১ ব্যবধানে হারল মিলান। লিগে রিয়াল-বার্সার সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চলা অ্যাটলেটিকো প্রথম লেগে মিলানের মাঠ থেকে জিতে এসেছিল ১-০ গোলে। আজ নিজেদের মাঠে ড্র করলেই চলত। কিন্তু শুধু ড্রয়ে যেন মন ভরছিল না কস্তাদের। তাই এক হালি গোল দিয়ে তবেই পা রাখল কোয়ার্টার ফাইনালে। অ্যাটলেটিকো সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল ১৯৯৭ সালে।