বিদ্যুৎ বিল কমানোর ৭টি উপায় জেনে নিন
বাংলাদেশে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮। বিদ্যুৎ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, বর্তমানে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু কিভাবে দরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও বিল কমানো সম্ভব? তার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা। খবর বিবিসি বাংলার।
১. সুইচ বন্ধ রাখা: ফ্যান, বাতি, টিভি, কম্পিউটার ব্যবহার না করলে সব সময় এগুলোর সুইচ বন্ধ করে রাখা। অনেক সময় বাথরুম বা বারান্দার লাইট জ্বলে থাকে। সেটি যাতে না হয়, তা খেয়াল রাখা হলে বিদ্যুৎ বিল বেশ খানিকটা কমে আসে। মেশিন বা ইস্ত্রি ব্যবহার না করলে প্লাগ খুলে রাখা উচিত। কম্পিউটার বা টিভি ব্যবহার না করলে স্লিপ মুডে বা বন্ধ করে রাখুন।
২. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার: এনার্জি বাল্ব বা এলইডি বাতি ব্যবহার করা হলে বিদ্যুতের ব্যবহার কমে আসে। প্রচলিত একটি বাতি একশো ওয়াট ব্যবহার করে, সেখানে একটি এনার্জি বাতি ব্যবহার করে মাত্র ২৫ ওয়াট। এছাড়াও এখন ইনভার্টারযুক্ত ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন পাওয়া যায়। এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল দুই তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।
৩. এসির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার: বাসাবাড়িতে এসি ব্যবহার এখন অনেক বেশি নিয়মিত ঘটনা। কিন্তু নিয়ন্ত্রিতভাবে এসি ব্যবহার করা গেলে এর বিল কমিয়ে আনা সম্ভব। এসির তাপমাত্রা সবসময় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট মাত্রায় ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার পর এসি বন্ধ করে ফ্যান চালানো যেতে পারে।
৪. মানসম্মত তার ব্যবহার: বিদ্যুতের সংযোগ ও তারের ওপর বিদ্যুতের বিল অনেক সময় নির্ভর করে। খারাপ মানের তার হলে, সংযোগ দুর্বল বা নড়বড়ে হলে সেটি লো ভোল্টেজের সৃষ্টি করে, ফলে বিলও বেড়ে যায়।
৫. বিকল্প যন্ত্রপাতির ব্যবহার: বাসায় রান্না করা বা খাবার গরম করার ক্ষেত্রে মাইক্রো ওভেন ব্যবহার না করে চুলা ব্যবহার করতে পারেন। স্লো কুকার বা টোস্টার ব্যবহার করা যায়। মাইক্রো ওভেনে ডিফ্রস্ট না করে পানিতে রেখে খাবারের বরফ ছাড়িয়ে নেয়া যেতে পারে। ওয়াশিং মেশিনে গরম পানির সেটিং ব্যবহার না করলে বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে।
৬. বিদ্যুতের সীমিত ধাপের মধ্যে থাকা: বিদ্যুতের ব্যবহার অনুযায়ী, একেকটি ধাপে একেক রকম বিল আসে। যেমন ডিপিডিসি বা ডেসকোর ট্যারিফ অনুসারে, কারো যদি বিদ্যুতের ব্যবহার ৭৫ ইউনিটের মধ্যে সীমিত থাকে, তাহলে বিল আসবে প্রতি ইউনিট ৪ টাকা হারে। কিন্তু ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিল আসবে ৪.৪৫ টাকা হারে। তৃতীয় ধাপ ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে বিল আসবে ৫.৭০ টাকা হারে। ৩০১ ইউনিট থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বিল আসবে প্রতি ইউনিট ৬.০২ টাকা হারে। ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত বিলের হার ৯ টাকা ৩০ পয়সা। এর বেশি হলে ইউনিট প্রতি বিল হবে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ বিদ্যুতের ব্যবহার কম ধাপের মধ্যে সীমিত রাখতে পারলে বিলও কম আসবে।
৭. প্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহার: এখন বহুতল ভবনে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো। যেখানে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে বা বেশি লোডশেডিং হয়, তারাও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারেন।