নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন শাকিল খান
এইতো কিছুদিন আগেই বাগেরহাট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে খুলনার নব নির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ছেড়ে দেওয়া আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে শাকিল খান মনোনয়নপত্র কিনেও শেষ সময়ে প্রত্যাহার করে নেন। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল চিত্রনায়ক শাকিল খান রাজনীতির মাঠে নামছেন।
আর তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সরব হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের এ নায়ক। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকেই আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা মার্কার জন্য মনোনয়ন চাইবেন তিনি। সম্প্রতি বাগেরহাট-৩ আসনের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন এ নায়ক। তিনি দু’দিন ধরে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার দিনভর মংলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে বুধবার সকাল থেকে রামপাল উপজেলায় গণসংযোগ করেন এক সময়ের জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
রামপাল উপজেলায় নিজের এলাকা গৌরম্ভায় গণসংযোগ কালে নায়ক শাকিল খান সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই বিতাড়িত! অনেক নেতা-কর্মীরা দুঃখ,কষ্ট ও ক্ষোভের মধ্যে আছেন, এলাকায়ও ঠিক মত থাকতে পারছেনা। এটি শুনলে নিজের কাছেও অনেক খারাপ লাগে। আমি এই কথাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছেও বলেছি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হলে, এলাকার সবাইকে নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি মংলা-রামপালের প্রতিটি পরিবার থেকে অন্তত একজনকে চাকরী দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শাকিল বলেন, ‘আমি নেত্রীর কাছে মনোনায়ন নিতে উপ নির্বাচনের গতবার গিয়েছিলাম। তখন নেত্রী বললেন, এখন না। সামনে তোমাদের জন্য সুন্দর দিন আসছে। আর এজন্যই কাজ করে শুরু করেছি। এখন নেত্রী যদি মনোনয়ন দেন, তাহলে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রচার-প্রচারণা বেশ ভালোই হয়েছে। বাগেরহাট-৩ নির্বাচনী আসনের বন্দর নগরী মংলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি। তার আগের দিন ছিল রামপালের বিভিন্ন এলাকায়। যেখানেই গিয়েছি বহু লোক জমায়েত হয়েছে। সবার কথা ছিল-আমরা নতুন মুখ চাই। যার ফলে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।’
শাকিল খানের নির্বাচনী প্রচারের সময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী, মোংলা পোর্ট পৌরসভার কাউন্সিলর কাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েক’শ নেতা-কর্মী।