‘ফুটবলের জয় হয়েছে’
স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে অনেক প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম হিসেবে অভিষেক হলো নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়ামের। আজ বুধবার বিকেলে বেলুন উড়িয়ে ম্যাচটির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
এর আগে মন্ত্রী দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন। এ সময় বাফুফে কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রচণ্ড গরমকে (৩৩.০৫ডিগ্রি) অগ্রাহ্য করে স্টেডিয়ামে প্রায় ২৩ হাজার দর্শক এই ম্যাচ উপভোগ করেন। দর্শক গ্যালারিতে নারী দর্শকের সংখ্যাও ছিলো চোখে পড়ার মতো। খেলা চলাকালীন অতিরিক্ত গরমের কারণে মধ্যাহ্ন বিরতি ছাড়াও দু’বার কূল ব্রেক (ঠাণ্ডা বিরতি) দেয়া হয়। খেলায় লঙ্কানরা ১-০ গোলে জয়লাভ করলেও ফুটবলের প্রতি নীলফামারিবাসীর অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।
খেলা চলাকালীন স্টেডিয়ামের বাইরেও বিভিন্ন বিল্ডিং ও গাছে উঠে হাজারও দর্শক খেলা উপভোগ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইলে অনেক দর্শক খেলা প্রত্যক্ষ করেন। ম্যাচটি দেখার জন্য গত তিন দিনের টিকিট নিয়ে যুদ্ধও মনে রাখান মতই।
ম্যাচে হারলেও স্টেডিয়াম ভর্তি সমর্থকদের হতাশ করেনি জেমি ডে’র শিষ্যরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ জুড়েই বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পক্ষেই রাখে মামুনুল বাহিনী। যদিও সফরকারি দলের মোহামাদ ফজলের অসাধারণ গোলেই হারতে হয় লাল-সবুজদের।
হয়তো একটি গোল হলেই শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আনন্দের বন্যা বয়ে যেতো। তবু লাল-সবুজদের সমর্থন দিতে একটুও কার্পন্যতা দেখায়নি নিলফামারীরর ফুটবল প্রেমীরা। স্টেডিয়ামের চারদিক দেখে মনে হচ্ছিল, এযেনো ফুটবলের নতুন জোয়াড়ে ভাসছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জাতীয় দলকে সমর্থন দিতে এসছিলেন এক যুবক। প্রিয় দল ১-০তে হেরেছে। কিছুটা হলেও মন খারাপ। তবে খেলাটির আয়োজক নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ হেরেছে ঠিকই, তবে আজকের খেলায় ফুটবলের জয় হয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে জেলা ভিত্তিক স্টেডিয়ামগুলোতে আরও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের দাবি তুলেছেন খেলা দেখতে আসা অনেকেই।