চলন্ত বাসে গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলন্ত বাসে শিউলী আক্তার (২৬) নামের এক নারী গার্মেন্টসকর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানি এলাকায় বর্বর এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল (মহাসড়কের পাশ থেকে) ওই গার্মেন্টসকর্মীর লাশ উদ্ধার করলেও বাস ও ধর্ষণকারীদের আটক করতে পারেনি।
পুলিশ সূত্র জানায়, শিউলী আক্তারের স্বামীর নাম মো: শরিফ মিয়া। বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম মো. আলেফ খান, বাড়ি একই উপজেলার রোয়াইল গ্রামে। শিউলি তিনি মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কম্ফিট কম্পোজিট মিলের কর্মী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো সকাল ৭টার দিকে পোশাককর্মী শিউলী বেগম তার কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসের জন্য মহাসড়কের চরপাড়ায় অপেক্ষা করছিলেন। কিন্ত কারখানার শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত বাস ছেড়ে যাওয়ায় শিউলী বেগম অন্য একটি বাসে উঠেন। তিনি বাসে উঠে দেখতে পান অন্য কোনো যাত্রী নেই। এই সুযোগে বাসের হেলপার ও সুপারভাইজারসহ তাদের সহযোগী কয়েকজন মিলে শিউলীকে ধর্ষণ করে। শিউলী বাসের মধ্যে বাঁচাও বাঁচাও বলে আর্তচিৎকার করেও ধর্ষণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।
বাসটি বাওয়ার কুমারজানি নামক স্থানে এলে কয়েকজন কৃষক বাসে চিৎকারের শব্দ শুনে রাস্তার পাশে ছুটে এলে ধর্ষণকারীরা শিউলীকে হত্যার পর বাস থেকে ফেলে দিয়ে চলে যায়।
আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লাশ দেখতে পেয়ে হাইওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে গোড়াই হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার এএসআই লিপি আক্তার বলেন, মহিলার লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। থানায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নারী পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান।