বুধবার, ১১ই জুলাই, ২০১৮ ইং ২৭শে আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ছাত্র আর দুই শিক্ষকের পর প্রিন্সিপালও…

অনলাইন ডেস্ক: বিগত আট মাস ধরে স্কুলেই একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ক্লাস নাইনের এক ছাত্রী। এ নিয়ে প্রিন্সিপালের কাছে নালিশ করলে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং একদিন ডেকে নিয়ে নিজেও সামিল হন ওই ধর্ষণযজ্ঞে।

শুক্রবার এ ঘটনায় স্কুলের প্রিন্সিপাল, দুই শিক্ষক ও ছাত্রসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছে ভারতের বিহার রাজ্যের সারান এলাকার এক বেসরকারি স্কুলের ওই ছাত্রী।

শুক্রবার লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী জানায়, তাকে গত ৮ মাস ধরে ধর্ষন করে আসছে স্কুলের প্রিন্সিপাল, দুই শিক্ষক ও স্কুলের একাধিক ছাত্র। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে সে এতদিন ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে পারেনি।

আরো খবর: আগে এমপিওভুক্তি পরে নীতিমালা

শুক্রবার সকালে নিগৃহীতা ওই ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে যায় তার পরিবার। তাদের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্কুলের প্রিন্সিপাল উদয় কুমার ওরফে মুকুন্দ সিংকে। এ ছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে দুই ছাত্র এবং বালাজি নামে এক শিক্ষককেও এদিন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষাও করানো হয়েছে।

এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৭-র ডিসেম্বরে স্কুলের ল্যাবরেটরির মধ্যে তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করে তিন ছাত্র। সেই ধর্ষণের ভিডিও করেছিল অভিযুক্তরা। স্কুলের কারও কাছে বা বাড়িতে ঘটনার কথা জানালে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সেই ভিডিও আপলোড করার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক দিনের মধ্যে সেই ভিডিও অন্য বন্ধুদেরও শেয়ার করে অভিযুক্তরা।

ধীরে ধীরে স্কুলের শিক্ষক ও প্রিন্সিপালের কাছেও পৌঁছে যায় সেই অশ্লীল ভিডিও। তারা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার বদলে ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। এহেন পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য প্রিন্সিপালের কাছে গেলে তিনি তাকে চুপ করে যেতে বলেন। পরে, একদিন স্কুল ছুটির পর মেয়েটিকে নিজেরে রুমে ডেকে নিয়ে প্রিন্সিপালও ধর্ষণ করে। এরপর নিয়মিত তা চলতেই থাকে এবং পালাক্রমে আরো দুই শিক্ষকের লালসার শিকার হয় দরিদ্র পরিবারের ওই মেয়েটি।

আরো খবর: ফ্ল্যাট পেলেন সরকারি কর্মচারীরা

এফআইআরে ১৮ জনেরই নাম উল্লেখ করেছে ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাপরা সদরের ডিএসপি সদরের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। শুরু হয়েছে গ্রেপ্তারি অভিযান।

বিহারে মেয়েদের উপর অপরাধের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮-র প্রথম তিন মাসে শিশুসহ ১২৭ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সূত্র: এবেলা