শুয়েই থাকো তুমি ! আমি তো অবুঝ দুধের বাচ্চা
স্বামী ভোরবেলা স্পোর্টস ট্রাউজার-কেডস পরে জগিংয়ে যাচ্ছে। কী মনে করে স্ত্রীকেও সঙ্গে নিতে চাইলো। ঘুমে বিভোর স্ত্রীকে জাগিয়ে বললো- চল, জগিং করতে যাই।
স্ত্রী: জগিং করার দরকারটা কী পরলো এই সকাল সকাল!
স্বামী: মন চাঙ্গা থাকে সারাদিন আর শরীরের চর্বিও ঝড়ে যায়। স্লিম স্বাস্থ্যের সহায়ক জগিং।
স্ত্রী : ও…ও…ও! তার মানে তোমার চোখে আমি এখন মুটকি হয়ে গেছি, তাইনা ?
স্বামী: না না! কথা সেটা না। এমন হাল্কা ব্যায়াম তো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
স্ত্রী: তার মানে আমার শরীর অসুস্থ! তোমার বোঝা হয়ে গেছি এখন!
স্বামী: না না,তা বলবো কেন? আচ্ছা তুমি যেতে যখন চাওনা তখন থাক।
স্ত্রী: তার মানে আমি অলস, কুঁড়ের বাদশা! নড়তে-চড়তে চাই না- এটাই তো বলবে এখন সবাইকে? তারপর সুযোগ তৈরি করবে আরেকটা…
স্বামী: ওহ হো! তুমি আমাকে বুঝতে পারছো না।
স্ত্রী: আমি তো অবুঝ, দুধের বাচ্চা! তোমার প্যাঁচ ধরতে পারবো না!
স্বামী: আমি আসলে তা বলিনি কিন্তু…
স্ত্রী: তাহলে এখন আমি মিথ্যুক! হায় খোদা! কার সঙ্গে সংসার করছি এত দিন?
স্বামী: সকাল সকাল শুরু করে দিলে ৫২ পর্বের সিরিয়াল? দয়া করে থাম এবার প্লিজ, শুয়েই থাকো তুমি।
স্ত্রী: হ্যাঁ, আমি তো ঝগড়াটে। সকাল থেকেই কাইজা শুরু করি তোমার সঙ্গে। আমি ঘুমিয়ে থাকলেই তুমি শান্তি পাও!
স্বামী: হায় আল্লাহ! কী মুসিবতে পড়লাম। আচ্ছা, আমি যাবো না জগিংয়ে।
স্ত্রী: মনের ইচ্ছা লুকিয়ে রাখ কেন? তোমার নিজেরই তো আসলে ইচ্ছে নেই যাওয়ার, আর আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছো এখন।
স্বামী: ওকে, ঠিক আছে বাবা। তুমি ঘুমাও এবার, আমি একাই চললাম।
স্ত্রী: তুমি তো সব সময় একা একাই থাকতে চাও। মৌজ-স্ফূর্তি সব একাই করলে জীবনে। আমি তোমার কে!
স্বামী: উফফ, এবারকার মতো মাফ করে দাও! দয়া করো, প্লিজ। আমার মাথা ঘোরাচ্ছে।
স্ত্রী : মাথা তো ঘুরবেই এখন। পার্কে একা একা জগিংয়ের ছলে বেহায়া মেয়েছেলেগো দেখার সুযোগ নষ্ট হলো যে… পুরুষগুলা এমনই হয় কেন প্রভু…
স্বামী বেচারা গত এক সপ্তাহ ধরে ভাবছে: আচ্ছা, দোষটা কী করেছিলাম! ভুলটা কী ছিল আমার?