ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : এবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাঁঠালের ফলন ভাল হয়েছে । জেলার বিজয়নগর, আখাউড়া ও কসবা এলাকার কাঠাঁল বাগান মালিকরা আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন ।জেলার বিজয়নগরের আযমপুর, সিংগারবিল, মেরাসানী, চম্পকনগর ও বিষ্ণুপুর, আখাউড়ার হিরাপুর, ননূরপুর, তারাগণ, কসবার উপজেলার গোপীনাথপুর, শালদানদী এসব এলাকায় ভৌগলিক কারণে জেলার সবচেয়ে বেশি কাঠাঁল বাগানে ফলন হয়েছে।
এছাড়া এই তিন উপজেলায় আরো কয়েকটি স্হানে কাঠাঁলে অনেকগুলো ছোট-বড় বাগান রয়েছে। এখানকার বাগানে ফলনকৃত কাঁঠাল উন্নত জাত আর আকৃতিগত ভাবে বেশ আকারে হওয়ার কারণে মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সে কারণে জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অনেক বাজারে কাঁঠাল যাচ্ছে আর এর কদর রয়েছে বেশ ভাল।
চলতি বছরের গাছে কাঠাঁলের মুচি বের হওয়ায় সময় বৃষ্টিপাতে কাঁঠাল গাছ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । তারপর নানা প্রতিকূল মাঝেও কাঁঠালের ভাল ফলন পেয়েছে। তবে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, উৎপাদনের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে কৃষক কাঁঠাল চাষে উৎসাহিত হবে। এদিকে, একবার বাগানে গাছ লাগিয়ে মৌসুমের বিশেষ কিছু সময়ে যতœ ও পরিচর্যা করে এর ফলন লাভবান হওয়ায় অনেকে নতুন নতুন বাগান তৈরিতে ঝুঁকছে।
উপজেলার বিজয়নগর ,আখাউড়া ও কসবা এলাকার বেশ কয়েকজন কাঁঠাল চাষীরা বলেন, আমাদের বাগানে ফলনকৃত প্রতিটি মাঝারি থেকে বড় সাইজের কাঁঠাঁল ৬০/১০০ টাকায় বিক্রি করা যাচ্চে। প্রতিকূল পরিবেশেও এবছর আশানুরূপ ফলনের কথা বলেছেন তারা। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঁঠালের আবাদ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় কাঠালের আবাদ ও উৎপাদন দুটিই বেশী হবে বলে আশা করছে কৃষি অধিদপ্তর।
বাগানের কাঠাঁল ফলনের হিসেবে চলতি বছর জেলায় প্রায় ১৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ হয়েছে। এছাড়া বাগানের প্রতিটি গাছেই ধরেছে বিপুল পরিমান কাঁঠাল। জেলার কৃষি অধিদপ্তরের হিসেবে এবার জেলায় প্রায় ১৩ হাজার ৯শ ৫০ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদন হবে।