জানেন কী, আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়দের গড় উচ্চতা কত?
স্পোর্টস ডেস্ক।। ৩২ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে আজ শনিবার শিরোপা মিশনে মাঠে নামছে দুই বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। তাদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ নবাগত দল আইসল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে জনসংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে ছোট দেশ তারা। কিন্তু পুরো বিশ্বকাপে আরেক দিক দিয়ে এগিয়ে আছে আইসল্যান্ড। আর তা হচ্ছে খেলোয়াড়দের উচ্চতা। আর এ কারণেই বিশেষ কিছু ভাবতে হচ্ছে আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে।
লং পাস, রক্ষণে সেটপিস ঠেকানো, হেড করার সময় উচ্চতা বেশ কাজে দেয়। এদিকটায় এগিয়ে থাকবে আইসল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়রাই সবচেয়ে বেশি লম্বা। তাদের গড় উচ্চতা ১.৯৫ মিটার (৬ ফুটের বেশি)। কেবলমাত্র সার্বিয়া, সুইডেন, জার্মানি ও ডেনমার্কের খেলোয়াড়দের গড় উচ্চতা তাদের থেকে বেশি। আইসল্যান্ডের সাত ডিফেন্ডারের ভেতর ৬ জনেরই উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চির বেশি। এ কারণে রক্ষণভাগ বেশ পাকাপোক্ত তাদের।
hitachi অন্যদিকে অন্যতম খর্বকায় দল আর্জেন্টিনা। মেসি-আগুয়েরোদের গড় উচ্চতা ১.৭৯ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চির একটু বেশি)। রক্ষণভাগের ফাজিও ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি, মার্কস রোহো ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং স্ট্রাইকার হিগুয়াইনের উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি। আর্জেন্টিনার বাকি সবার উচ্চতা ৬ ফুটের নিচে। এই চিন্তা থেকেই অনুশীলনে উচ্চতার সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ সাম্পাওলি।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়দের এই উচ্চতাই ভুগিয়েছে বিপক্ষ দলগুলোকে। বেশিরভাগ ম্যাচেই তারা হেডে গোল করেছে। বাছাইপর্বের ১৬ গোলের ৫টিই তারা করেছে হেডে। যা মোট গোলের ৩১%।
ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্দি ও মার্কাস রোহোকে দিয়ে জোনাল ডিফেন্স পরখ করে নেন কোচ সাম্পাওলি। এছাড়া ম্যাক্সিমিলিয়ানো মেজা, লুকাস বিগলিয়া ও ডি মারিয়ার মতো উচ্চতাসম্পন্ন খেলোয়াড়কে দিয়ে প্রতিপক্ষদের মার্কিং অনুশীলন করিয়েছেন চিলিকে ২০১৫ কোপা আমেরিকা জেতানো এ কোচ।
এ নিয়ে গোলরক্ষক নাহুয়েল গুজম্যান বলেন, গত সপ্তাহ থেকে আমরা সেটপিসের মতো নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। এই দিকটিতে কোচ অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। দলের সবাই তা বুঝতে পারছে। আশা করছি শনিবারের ম্যাচে আমরা তা প্রদর্শন করতে পারবো।
আইসল্যান্ড ম্যাচটা যে সহজ হবে না, তা টের পাচ্ছেন আর্জেন্টিনার ৩৬ বছর বয়সী গোলরক্ষক উইলি ক্যাবায়েরো। তিনি বলেন, অনেক কঠিন একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আইসল্যান্ডের রক্ষণ খুব ভালো। মাঝমাঠ দিয়ে আক্রমণ করা সহজ হবে না। আমাদের উইং ব্যবহার করতে হবে। ‘ডি’ গ্রুপের অপর দুই দল ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া।
গ্রুপ পর্বের প্রতিপক্ষদের প্রতি আগেই সমীহ প্রকাশ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। বলেন, ‘আইসল্যান্ড যেকোনো দলের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে তারা সেটি প্রমাণ করেছে। স্পেনের সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠের খেলার ধরনে মিল রয়েছে। নাইজেরিয়া বরাবরই আমাদের চ্যালেঞ্জ জানায়।’
আগামী ২১ জুন ক্রোয়েশিয়া ও ২৬ জুন নাইজেরিয়ার মুখোমুখি হবে মেসির আর্জেন্টিনা।