রবিবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০১৮ ইং ১৬ই বৈশাখ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আশুগঞ্জে প্রথমপত্রের পরীক্ষায়, দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন : আধাঁঘন্টা পর পরিবর্তন, চার প্রশ্ন উধাও

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সারকারখানা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ২৮ তারিখে ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নে ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। আধাঁঘন্টা পর প্রশ্ন পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়া হয় পরীক্ষার্থীদের। এসময় চারটি প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্র প্রশ্ন বিতরণ করে আধাঘন্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এসময় পরীক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন।

কেন্দ্র ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশুগঞ্জ সারকারখানা কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রসায়ন, ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রথম পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ট্যাগ অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার রোকসানা আক্তার ট্যাগ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সকালে থানা থেকে তিনি ও তার সাথে কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান গিয়ে থানা থেকে প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করেন। পরে পরীক্ষা শুরু হলে কেন্দ্রে ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্র প্রশ্ন বিতরণ করে ২০০ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরু করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো পরীক্ষার হলে হৈচৈ পড়ে পড়ে যায়। পরে কক্ষ পরিদর্শকরা সকল প্রশ্ন তুলে নেন। প্রশ্ন পরিবর্তন করে ইসলামের ইতিহাস প্রথমপত্র প্রশ্ন বিতরণ করে আধাঘন্টা দেরিতে আবারো পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসময় ২৮ তারিখের ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার চারটি প্রশ্ন খোয়া যায়।

আশুগঞ্জ সারকারখানা কলেজের পরীক্ষার্থী আলমিন ও জাকারিয়া বলেন, ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্র প্রশ্ন বিতরণ করে পরীক্ষা শুরু করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো পরীক্ষার হলে হৈচৈ পড়ে পড়ে যায়। পরে সকল প্রশ্ন আবারো তুলে নেয়া হয়। দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন পরিবর্তন করে ইসলামের ইতিহাস প্রথমপত্র প্রশ্ন বিতরণ করে আধাঘন্টা দেরিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই কারনে ভয়ে অনেকের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে।

এব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্র প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ পরীক্ষার্থীরা করেছে তা সঠিক নয়।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরা বলেন, দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন উঠিয়ে প্রথম পত্র প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন।

তবে বিষয়টি স্বীকার করেছেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন। তিনি জানান, প্রশ্নপত্র খোয়া ও অন্যান্য বিষয়ে আমরা উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত প্রমান পেলে তাদের ব্যপারেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর