পর্ন ভিডিও ব্রেনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর!
অনলাইন ডেস্ক : কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে আজকাল অনেকে ফেসবুক বা অন্য কোন সোশ্যাল সাইট থেকে পর্ন সাইটে চলে যান। তথ্য-প্রযুক্তির প্রসার ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে পুরো বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপ থেকে একটি ক্লিকেই প্রবেশ করতে পারেন নেট দুনিয়ায়। আর নানা রকম চটকদার ছবি ও বিজ্ঞাপণের প্রভাবে সহজেই প্রবেশ করছেন নীল ছবির জগতে। কিন্তু এর মাধ্যমে আপনি নিজের সবচেয়ে ভয়ানক ক্ষতিটি নিজেই করছেন।
বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও চিকিৎসকদের গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব পুরুষ নিয়মিত পর্ন ভিডিও বা যৌন উত্তেজক ছবি দেখেন তাদের ব্রেনের আকার পরিবর্তিত হয়ে সাধারণ পুরুষের ব্রেনের চেয়ে ছোট হয়ে যায়। জার্মান সাইকিয়াট্রি জার্নালে এক স্টাডির রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়।
চিকিৎসকগণ তাদের গবেষণায় সাধারণ পুরুষদের ব্রেনের সাথে পর্ণ ছবি দেখতে অব্যস্থ পুরুষদের ব্রেনের তুলনা করে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ষ্ট্রিয়াটোম নামের একপ্রকারের সেনসিটিভ বিকল্প থিওরি যা
পর্নগ্রাফিতে মানুষকে আসক্ত করে, সেইসকল পুরুষদের ব্রেইন আকারে পরিবর্তন এনে থাকে।
বার্লিনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনিষ্টিটিউটের ডঃ সাইমন কোহন, যিনি এই পেপারের লেখক ও লিড গবেষক তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত গবেষণায় এ সম্পর্কে তাদের কাছে ব্রেইনের আকার ছোট হওয়ার কারণটি উঠে এসেছে। তবে তারা এ নিয়ে আরও গবেষণা করে যাচ্ছেন।
ড. কোহন এবং তার অনুসারীরা জার্মানির চারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল প্রায় ৬৪ জন সুস্থ সুঠাম দেহের পুরুষ যাদের বয়স ২১ থেকে ৪৫ এর মধ্যে, তাদের উপর গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে প্রাথমিক তথ্যে উপনীত হয়েছেন, তারা দেখতে পেয়েছেন, সুস্থ সুঠাম দেহের পুরুষদের ব্রেনের তুলনায় যারা পর্ণ ছবিতে আসক্ত, তাদের ব্রেনের আকার ছোট হয়ে আসে।
স্মার্টফোনে পর্ন দেখলে সম্ভাব্য ৫টি বিপদ
১। বিভিন্ন ধরণের ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার রয়েছে যা স্মার্টফোন লক করে দেয়। অনেক সময়েই টাকার বিনিময়ে লক খুলতে হয়। পর্ন-সাইটে ভেসে ওঠে কিছু পপ-আপ। আর তাতে ছোঁয়া লাগলেই মোবাইল লক হয়ে যেতে পারে। অনলাইনে টাকা দিলে তবেই খোলা যায়। অনেক সময়ে খোলাও যায় না।
২। এটা সকলেরই জানা যে, চাইল্ড-পর্ন দেখা আইনত অপরাধ। অনেক সময়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে চাইল্ড-পর্ন সাইট খুলে যেতে পারে। হ্যাকাররা যদি জানতে পারে কেউ স্মার্টফোনে চাইল্ড পর্ন দেখেছে তবে তাকে আইনি বিপদে ফেলতে পারে কিংবা সেই ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে পারে।
৩। মনে রাখবেন, হ্যাকাররা সব সময়ে ওৎ পেতে বসে রয়েছে। তাদের অন্যতম বড় ফাঁদ হল পর্ন-সাইট। যারা নিয়মিত পর্ন দেখতে অভ্যস্ত তাদের বিভিন্ন সাইটের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সেখানে ঢুকতে প্রলুব্ধ করে হ্যাকাররা। একবার সেই সাইটে ঢুকলেই হ্যাকাররা সহজেই চুরি করে নিতে পারে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য।
৪। পর্ন-সাইটের মাধ্যমে আপনি জড়িয়ে পড়তে পারেন নানা রকম পেইড সার্ভিসে। অনিচ্ছাকৃতভাবে মোবাইলে অ্যাক্টিভেট হয়ে যায় এমন কিছু সার্ভিস, যা আপনি জানতেও পারেন না। কিন্তু ওই সার্ভিসের জন্য কেটে নেওয়া হয় টাকা।
৫। পর্ন-সাইটে ঢুকলে শুধু যে বিজ্ঞাপনই আপনাকে বোকা বানাবে তা নয়, দেখানো হয় নানা রকম অ্যাপ ডাউনলোড বা আপডেটের লোভ। হ্যাকারদের এই ফাঁদে পা দিলেই হাতছড়া হয়ে যাবে আপনার যাবতীয় তথ্য।