সোমবার, ৪ঠা জুন, ২০১৮ ইং ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসর অনুষ্ঠান বর্জন করলেন মুক্তিযোদ্ধারা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের  অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনেরও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় তারা অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধারা। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামছুজ্জামান ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।

সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ চোখে পড়েনি। তবে পৃথকভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান তারা নিজ উদ্যোগে করেছেন বলে জানা যায়। পাশাপাশি বিষয়টি অবিলম্বে সুরাহা না হলে আর কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলেও জানান তারা।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা  জানান, দীর্ঘদিন যাবত আখাউড়া পৌরসভার পাশের জেলা প্রশাসকের সরকারি জায়গায় অফিস করে আসছেন এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা। এরই মধ্যে এই জায়গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ দিয়ে সেখানে একটি কমপ্লেক্স করার কথা থাকলেও সেই জায়গা কিছু অসাধু ব্যক্তি দখলে নিতে চাচ্ছেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে চাচ্ছেন একটি মহল। এই বিষয়ে বার বার উপজেলা  ও পৌর প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেও এই বিষয়ে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করলেও বিষয়টি তারা কর্ণপাত করেননি।

তারা বলেন, ‘দুমাস আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলেও কোনো কাজ হয়নি। সবশেষ চলতি মাসের ২৪ তারিখে আবারও মুক্তিযোদ্ধারা বিষয়টি সুরাহার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দ্বারস্থ হলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রশাসন অয়োজিত ২৬ মার্চের সকল অনুষ্ঠান আমরা বর্জন করেছি। তবে দেশকে ভালোবেসে আমরা সকাল থেকেই সবগুলো অনুষ্ঠান আলাদাভাবে করেছি।’

আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মো. মিন্টু মিয়া জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌর মেয়র ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাদের আশ্বস্থ করেছেন বিষয়টি এলাকার সাংসদ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাধ্যমে সুরাহা করা হবে। তবে বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলেও জানান তিনি।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের কিছু দাবি দাওয়া ছিল তা আগেই পূরণ করা হয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠান বর্জনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার বক্তব্য এতটুকুই।’

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র তাজজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ছাড়া অনুষ্ঠান হতে পারে না। তাই আমরা গিয়ে তাদের আশ্বস্থ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিয়ে এসেছি।

Print Friendly, PDF & Email