৫ কারণে পিএসজি ছাড়ছেন নেইমার
স্পোর্টস ডেস্ক : গোটা বিশ্বে হইচই ফেলে গত বছরের আগস্টে ট্রান্সফার ফির বিশ্বরেকর্ড (২২২ মিলিয়ন ইউরো) গড়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যান নেইমার। যাওয়ার কিছুদিন পরই খবর আসে,সেখানে ভালো নেই তিনি। আলো ঝলমলে পরিবেশে থাকলেও প্যারিস ছাড়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ব্রাজিল যুবরাজ।
এতদিনে নদীতে অনেক জল গড়িয়েছে। নেইমারের পিএসজি ছাড়ার খবরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে! এবার জানা গেল এর নেপথ্যে ৫টি উল্লেখযোগ্য কারণ-
সুরক্ষার অভাব: ফরাসি লিগ ওয়ানে খেলোয়াড়দের সুরক্ষার অভাব দেখেন নেইমার। তার মতে, এখানে জেনেশুনেই প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়েরা তারকা খেলোয়াড়দের আক্রমণ করে। পা, শরীর দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘনঘন ইনজুরিতে পড়তে হয়। যার বলির পাঁঠা তিনি নিজেই।
রেফারির অবিচার: তারকা খেলোয়াড়দের প্রতি অবিচার করেন লিগ ওয়ানের রেফারিরা। যার শিকার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এ লিগে একজন ভালো ফুটবলারকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়েরা ফাউল করলেও তা ধরা হয় না। উল্টো তাকেই সতর্ক করেন রেফারি।
গুণগত মান: ফ্রেঞ্চ লিগের খেলোয়াড়রা খুবই নিম্নমানের। সেলেকাও তারকা মনে করেন,তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিশ্বসেরা হওয়া যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তার দরকার লা লিগা বা প্রিমিয়ার লিগে খেলার মতো ফুটবলার।
বাজে মাঠ: ফ্রান্সের মাঠগুলো মন ভরাতে পারেনি নেইমারের। সেখানকার মাঠে থাকে বড় ঘাস ও খানাখন্দ। যাতে প্রতিনিয়ত ইনজুরির ঝুঁকি থাকে বলে তিনি মনে করেন।
ভ্রমণ সংক্রান্ত ঝামেলা: প্রতিপক্ষ অনেক দলের মাঠ প্যারিসের কাছাকাছি হওয়ায় বাসে যাতায়াত করতে হয় নেইমারকে। বিষয়টি বেশ বিরক্তিকর ঠেকেছে সাম্বা তুর্কির কাছে। কারণ, তিনি প্লেন বা ট্রেনে যাওয়া-আসায় অভ্যস্ত। এ ছাড়া যেকোনো মুহূর্তে ফ্রান্স থেকে ব্রাজিল যেতেও নাকি ঝক্কি পোহাতে হয় তাকে।
সম্প্রতি মার্সেইয়ের বিপক্ষে পিএসজির হয়ে খেলতে গিয়ে ডান পায়ে চোট পান নেইমার। এতে তার পায়ের পাতার হাড় ভেঙে যায়। সদ্য এর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তিনি রিও ডি জেনিরোও নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। তা জিতে ফের দেশকে আনন্দের জোয়ারে ভাসাতে চান নেইমার। স্বপ্নের আসর শেষে মাঠে গড়াবে মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলো। ওই সময় অ্যামেইন্স, রেনে ও স্তাদে মালহার্বেইর বিপক্ষে মাঠে নামবে পিএসজি।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ইউওএল এস্পোর্ত জানাচ্ছে, ওই ম্যাচগুলোই হতে পারে নেইমার-পিএসজি যুগলবন্দীর শেষ অধ্যায়।