রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে আসাম ও মেঘালয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রপতি এই প্রথম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যাচ্ছেন। এ কারণে উচ্ছ্বাসিত প্রতিবেশি রাজ্য আসাম ও মেঘালয় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি আসাম ও মেঘালয় রাজ্য সরকার এ সফরকে ঘিরে নানা কার্যসূচী হাতে নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের এই সফরকে নিয়ে রাজ্য দুটির মিডিয়াগুলো গুরুত্বের সঙ্গে কাভার করছে।
গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বিশেষ বিমানযোগে গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এ সময় তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানাবেন আসাম রাজ্য সরকার।
এসময় আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালসহ রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশার সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, গুয়াহাটিতে নিযুক্ত সহকারি হাইকমিশনার কাজি মুনতাসির মূর্শেদ উপস্থিত থাকবেন।
এরপর রাষ্ট্রপতি গুয়াহাটির হোটেল তাজ ভিভান্তায় উঠবেন। সেখানে তার সঙ্গে বৈঠকে মিলিত রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। এরপর রাতে রাষ্ট্রপতির সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন আসামের রাজ্যপাল জগদীশ মুখি।
সূত্রটি আরো জানায়, শুক্রবার সকালে হেলিকপ্টারে রাষ্ট্রপতি মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। শিলংয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানাবেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। এর পর রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত মেঘালয়ের বাংলাদেশ সীমান্তের গুমাঘাট, মৈলাম ও বালাত অঞ্চলের স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের (মুজিব বাহিনী) সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মো. আবদুল হামিদ মেঘালয়ের এই অঞ্চলগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে ছিলেন। এদিন রাতে মেঘালয়ের রাজ্যপাল ভি শনমুগান্থান রাষ্ট্রপতির সম্মানে রাজভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন।
এরপর শনিবার সকালে ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন রাষ্ট্রপতি। এ অনুষ্ঠানে ২৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধানরা অংশ নেবেন। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এবং শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।