ফের হারল রিয়াল
স্পোর্টস ডেস্ক : মৌসুমের শুরু থেকে বারবার তাল হারানো রিয়াল মাদ্রিদ শেষ দিকে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে ছন্দ ধরে রাখতে পারল না দলটি। স্প্যানিশ লা লিগায় টেবিলের তলানির দল এস্প্যানিওলের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে লস ব্লাঙ্কোজরা।
মঙ্গলবার ঘরের মাঠে রিয়ালকে আতিথ্য দেয় এস্প্যানিওল। চোটের কারণে এ ম্যাচে ছিলেন না মাঝমাঠের কর্ণধার লুকা মদ্রিচ ও টনি ক্রুস। একই কারণে দলের বাইরে ছিলেন রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরী মার্সেলো। বিশ্রামে রাখা হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। বসে থেকে শুরুতে বেঞ্চ গরম করেন আক্রমণভাগের অন্যতম সদস্য করিম বেনজেমা।
তারকাবিহীন রিয়াল প্রথমার্ধে এলোমেলো ফুটবল খেলে। এ অর্ধে দলটির পারফরম্যান্স ছিল একেবারে হতাশাজনক। বিরতির পরও তাদের চিত্র পাল্টেনি। বরং আরও দৃষ্টিকটু ফুটবল উপহার দেয় তারা।
এ ম্যাচে রিয়াল একাদশে একমাত্র তারকা ফুটবলার ছিলেন গ্যারেথ বেল। তবে ফের নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বাজে খেলার খেসারত হিসেবে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ওয়েলস ফরোয়ার্ড।
আক্রমণের ধার বাড়াতে ৬৯ মিনিটে ইসকোকে বসিয়ে করিম বেনজেমাকে নামান জিনেদিন জিদান। তিন দিন আগে দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা ফরাসি ফরোয়ার্ডও কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। বাকি সময়েও কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা।
উল্টো একের পর এক আক্রমণে রিয়ালের রক্ষণে ত্রাস ছড়ায় এস্প্যানিওল। তবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মিলছিল না। অবশেষে যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে গোল পায় স্বাগতিকরা। এতে রিয়াল সমর্থকদের স্তব্ধ করে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ছোট দলটি। জয়সূচক গোলটি করেন মোরেনো।
এ নিয়ে ২০০৭ সালের পর রিয়ালের বিপক্ষে জয় পেল এস্প্যানিওল। আর লিগে টানা চার জয়ের পর ফের হারের তেতো স্বাদ পেলেন জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
আগামী ৬ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে যাবে রিয়াল। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচের আগে এস্প্যানিওলের বিপক্ষে এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই রিয়াল কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে।
লা লিগায় এ নিয়ে পঞ্চম হারের স্বাদ পেল রিয়াল। সব মিলিয়ে ২৬ ম্যাচ খেলে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে দলটি। এখন পর্যন্ত অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত আছে বার্সেলোনার। ২৫ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ লিডার কাতালানরা। ৭ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।