সিলেটে পাথর কোয়ারি ধসে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে ৪
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি ধস থেকে আরও আরও দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ভোলাগঞ্জের হাজিরডেগনা এলাকার সীমান্ত এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে কোয়ারিতে অভিযান চালিয়ে আরও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখন চলছে। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জের মুরাদপুর এলাকার আসকর আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২২) ও একই এলাকার হযরত আলীর ছেলে মতিবুর (৩২)। তবে সকালে উদ্ধার হওয়া লাশের এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রুহেল (১৮), রফিকুল (১৬) ও ফিরোজ আলী(৪৫)। এদের মধ্যে ফিরোজ আলীল অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
৪ জনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানা ওসি (তদন্ত) দিলিপ নাথ। তিনি বলেন, গতকাল রাতে ২ জনের লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে আরো দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রাও আশঙ্কা করছেন। দুর্ঘটনাকবলিত গর্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানা যায়, ভোলাগঞ্জ কোয়ারির হাজিরডেগনা এলাকায় রাতে জেনারেটর চালিয়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল। রাত সাড়ে ৯টায় গর্ত ধসে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।