ভোটের বছর ডিসি-এসপিদের নজরে রাখার পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরুর আট মাস আগে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে সরকারের রদবদলের প্রেক্ষাপটে এখন থেকেই নির্বাচন কমিশনকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন একজন পর্যবেক্ষক।
রোববার মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল এনেছে সরকার; জেলা প্রশাসকের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনেও রদবদল আনা হয়েছে।
এই রদবদলে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহসহ ২২ জেলায় জেলা প্রশাসক পরিবর্তন হয়েছে। ২৯ জন পুলিশ সুপারের কর্মস্থলও পরিবর্তন করা হয়েছে। এর আগেও কিছু রদবদল ও পদোন্নতি হয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপরই নির্ভর করতে হয় ইসিকে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে থাকেন জেলা প্রশাসকরা। তাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা থাকেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে।
ভোটের বছরে জেলা প্রশাসকদের এই রদবদলকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ‘রুটিন ওয়ার্ক’ বললেও নির্বাচনে এসব কর্মকর্তাদেরই ভোটের দায়িত্বে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
সরকারের বাইরের বলয়ের রাজনৈতিক দলগুলো বরাবরই অভিযোগ করে থাকে, ক্ষমতাসীনরা তাদের আস্থাভাজনদেরই বিভিন্ন পদে বসায়, যাতে ভোটের সময় তারা সুবিধা পায়।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর ১৫ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত ডিসি, এসপি, ইউএনওদের ইসির সঙ্গে পরামর্শ না করে বদলি করা যাবে না।
কিন্তু তার আগে সরকার রদবদল আনলে ইসির কিছু করার নেই। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর একটি মোর্চা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) পরিচালক আব্দুল আলীম মনে করেন, ইসিকে এখন থেকে নজর রাখতে হবে এই দিকটিতে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে এখন থেকেই মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিষয়ে মনিটরিং শুরু করতে হবে।”
এখন সরকারের ‘রুটিন ওয়ার্ক’ অনুযায়ী পদোন্নতি, বদলি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না থাকলেও পরে বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করার ক্ষমতা ইসির হাতে থাকার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন তিনি।
আলীম বলেন, “এখন যারা রয়েছেন তাদের অধিকাংশই ভোটের দায়িত্বে থাকবেন। কমিশনকে নিজেদের মতো করে মাঠ প্রশাসন সাজাতে হবে।
“সেক্ষেত্রে ডিসি-এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের কাজ মনিটরিং করার কাজ শুরু করতে হবে। কোনো ধরনের বিতর্কিত বা নিরপেক্ষ নন- এমন ব্যক্তিদের ভোটের দায়িত্বে রাখা যাবে না।”