লিফটে গর্ভবতীর ব্যথা … এবং তারপর!
হঠাৎ লিফটে গর্ভবতীর ব্যথা উঠে। গর্ভবতী ব্যথায় অস্থির হয়ে উঠবস করেন। তারপর লিফটের দেয়ালে থাপড়িয়ে চিৎকার করেন, ‘আমার বাচ্চা আসছে। আমি কেমনে ওয়েট করবো। আমাকে হাসপাতালে যেতে হবে।’ এ দৃশ্য দেখে লিফটে অবস্থান করা অন্য ব্যক্তিরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান। এমন অবস্থায় তারা কি করবেন বুঝতে পারেন না। কেউ ভয় পান, কেউ হেল্পের জন্য ফোন করেন।
এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এটি একটি প্র্যাংক ভিডিও। একটি এফএম চ্যানেলের একজন আরজে সেখানে মজা করার জন্য অভিনয় করেছেন। ভিডিওটি নিয়ে খুব সমালোচনা হচ্ছে। কেউ বলছেন, মাতৃত্ব কিংবা নারীর সর্বোচ্চ সুখের বিষয় নিয়ে এভাবে ফাউল ফান করতে পারে ভাবতেই পারবেন না। বয়কট, নিষিদ্ধ না, নারী নামের চরম কলঙ্কিত এই লেডির শাস্তি হওয়া দরকার।
আনিসুর সুমন ভিডিওটি তার ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘একজন নারী কী পরিমাণ মেন্টাল ক্রাক, ফাউল, উন্মাদ কিংবা বিকারগ্রস্ত হলে এ ধরণের কাজ করতে পারে তার প্রমাণ এটা। প্রাঙ্কের নামে আগেও বেশকিছু অবান্তর কাজ করে দেখিয়েছেন। উনার নাম আরজে ট্যাজ। শুনেছি উনি একটি এফএম চালান, স্বনামধন্য ব্যবসায়ীও। সে যে সর্বোচ্চ শিক্ষিত তাতে নিঃসন্দেহ, তারপরও এই লেডি কিভাবে প্রেগন্যান্সি বা মাতৃত্ব কিংবা নারীর সর্বোচ্চ সুখের বিষয় নিয়ে এভাবে ফাউল ফান করতে পারে ভাবতেই পারবেন না। বয়কট, নিষিদ্ধ-ফিসিদ্ধ না, নারী নামের চরম কলঙ্কিত এই লেডির শাস্তি হওয়া দরকার।’
আরজে ট্যাজের আরও একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে আরজে ট্যাজ এক ব্যক্তিকে কল দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তিটির স্ত্রী কয়েকদিন আগে হাসপাতালে একটি বাচ্চা প্রসব করেছে। ফোন করে আরজে টাজ নিজেকে হাসপাতালের লোক পরিচয় দিয়ে বলে যে- হাসপাতালের ভুলে বাচ্চা অদলবদল হয়ে গেছে এবং যে বাচ্চাটিকে ওই দম্পতি ঘরে নিয়ে গেছেন সেটি আসলে তাদের বাচ্চা নয়; অন্যের বাচ্চা এবং এই বাচ্চাকে এখন হাসপাতালে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই ভুলের মাশুল হিসেবে হাসপাতাল দম্পতিকে ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত। ফোনে এই খবর শুনে নবজাতকের বাবা-মা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, উত্তেজিত এবং আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন, এক পর্যায়ে বাচ্চাটির প্রসূতি মা হাউমাউ করে কান্নাকাটি শুরু করে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লে অবস্থা বেগতিক দেখে এই আরজে টাজ গোমর ফাঁস করে জানান আসলে এটা ‘প্র্যাঙ্ক’ বা ‘দুষ্টামি’ ছিল!
ট্যাজ সম্পর্কে ফেসবুকে সামিউল বসির লিখেছেন, ইউটিউবে আপনার রেডিও স্টেশনের ভিডিও দেখলাম। প্র্যাংক কলের নামে আপনি বিভিন্ন জনকে কল দিয়ে মজা নিচ্ছেন বাংলিশ ভাষাতে। একজন মাকে কল দিয়ে বলছেন, তার সদ্যোজাত সন্তানটি হাসপাতালে বদলে গেছে। ক্ষতিপূরণ বাবদ আপনি কিছু টাকা দিয়ে দিবেন। ফোনের ওপাশে বাবা মা চিৎকার করে কাদছে, এপাশে ভিডিওতে আপনি আর আপনার পোষা একটা ক্লাউন হাসিতে গড়িয়ে পড়ছেন। একজন বাবা, একজন মায়ের কান্না আপনার রেডিওর পাবলিসিটির জন্য খুব ফানি একটা টপিক, তাইনা? বাবার অঢেল টাকায় রেডিও স্টেশন চালু করে সেখানে নিজেই আরজে হয়ে অখাদ্য গুমার্কা জিনিসপাতি পাবলিককে গিলাচ্ছেন বিকৃত বাংলিশ ভাষাতে। নিজেকে খুব স্মার্ট ভাবেন বিকৃত ভাষায় কথা বলে? সরি টু সে, আপনার প্রোগ্রাম কোনো সুস্থ মানসিকতার মানুষের পক্ষে শোনা সম্ভব নয়। আর রইলো বাকি প্র্যাংক কলের নামে অসুস্থ কাজকর্ম। সবকিছু নিয়ে ফাইজলামি হয়না আরজে ট্যাজ। বাবা মায়ের দেয়া তাসনিম নামটা ট্যাজ হিসেবে চালান, সেটা আপনার পারসোনাল লাইফ। কিন্তু রেডিও প্রোগ্রামের উসিলায় প্র্যাংক কলের নামে একজন মাবাবার ইমোশন নিয়ে ফাইজলামি টাইপ ব্যাপারস্যাপার যদি না থামান, ৯৬.৪% নয়, পাবলিকের ১০০% ঠাশঠাশ থাপ্পড় আপনার দুই গালে মেরে আপনাকে সভ্যতা ও ভদ্রতা শেখানো হবে। এর নাম বাংলা মাইর। একবার খাইবেন, জীবনভর মনে রাখবেন আর গালে হাত বুলাইবেন।
মো. কাবিরুল ইসলাম লিখেছেন, আসুন প্রাংক কে না বলি। যেখানে প্রাংক সেখানেই প্রতিরোধ। একটি মায়ের মমত্ববোধ নিয়ে কতো বড় অসভ্যতা করেছেন আর জে ট্যাজ। বিচার সাধারন মানুষের উপর। আমরা প্রাংক কে ঘৃনা করি।