‘কার্যকর হয়নি’ শাকিব-অপুর তালাক
বিনোদন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার শাকিব খান কর্তৃক অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পূর্ণ হল। আইনগতভাবে, এদিনই তারকা এ জুটির তালাক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হয়নি। কেন হয়নি, গণমাধ্যমকে সেই কারণ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন। বলেছেন, ‘শাকিব-অপুর তৃতীয় ও শেষ শুনানি হবে আগামী ১২ মার্চ। তালাক কার্যকরের বিষয়ে সেদিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
গত বছরের ২২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন স্বামী শাকিব খান। পরে তারকা এ জুটির সংসার টেকাতে উদ্যোগী হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এ লক্ষ্যে গত ১৫ জানুয়ারি ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর অফিসে দুই তারকা দম্পতিকে নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে অপু উপস্থিত থাকলেও হাজির ছিলেন না শাকিব খান। সালিশির বিষয়ে জানা সত্ত্বেও তিনি তখন শুটিংয়ের কাজে দেশের বাইরে ছিলেন।
এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল দ্বিতীয় সালিশি বৈঠকের দিন। সেখানে শাকিব-অপু কেউই হাজির হননি। অপু জানান, তিনি শাকিবের তালাকের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। কাজেই, দ্বিতীয় সালিশি বৈঠকের আর কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা, শাকিব এবারও শুটিংয়ের কাজে নায়িকা বুবলীর সঙ্গে দেশের বাইরে ছিলেন। এরই মধ্যে তৃতীয় সালিশি বৈঠকের দিন পড়ায় এবং বৃহস্পতিবার তালাক কার্যকর না হওয়ায় আশার আলো দেখতেই পারেন শাকিব-অপুর ভক্তরা।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই জুটি ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন। দীর্ঘ নয় বছর সেকথা কেউ জানতে পারেনি। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে জন্ম হয় তাদের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের। গোপন রাখা হয় এই খবরটিও। অবশেষে গত বছরের ১০ এপ্রিল সাত মাসের ছেলেকে নিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হন অপু বিশ্বাস। প্রকাশ করেন সবকিছু।
এ ঘটনায় শাকিব খান প্রথমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেও পরে সবকিছু স্বীকার করেন এবং অপুর সঙ্গে সুখে সংসার করবেন বলে জানান। কিন্তু সেই সুখের সংসার আর পাতা হয়নি। উপরে উপরে সবকিছু মেনে নিলেও ভেতরে যে একটা ক্ষোভ ছিল সেটা অবশেষে প্রকাশ করে দেন নায়ক। ‘ছেলে জয়কে তালাবদ্ধ করে অপু বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কলকাতায় ঘুরতে গেছেন’- এমন অভিযোগ এনে গত ২২ নভেম্বর তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব।
যদিও পরে অপু ফিরে এসে শাকিবের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে, তিনি কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন এবং ছেলে জয়কে শাকিবের কোনো আত্মীয়ের কাছে রেখে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না বলেই কাজের মেয়ে শেলীর কাছে রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব কিছুই কানে তোলেননি শাকিব খান। নড়েননি নিজের সিদ্ধান্ত থেকেও। তবে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে আগামী ১২ মার্চ। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতেই হচ্ছে।