হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধান ও দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় সেনাবাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলে তিনি বলেন, দেশের এবং বিশ্বের শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সংবিধান ও দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় সেনাবাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল খাতে অবদান রাখছে বাংলাদেশ। অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন হয়েছে। ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত থেকে ওঠে এসেছে। উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি আকাশপথে ঢাকা থেকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে এসে উপস্থিত হন। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো রাজশাহীতে সফর করছেন। সেখানে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে সালাম ও অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ষষ্ঠ কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী যাবেন। সেখানে বিকেলে মহানগরীর মাদ্রাসা ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। মাদ্রাসা ময়দান থেকে ২১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ১২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সাত বছর আগে রাজশাহীর এই ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর বাগমারা, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর পবায় দলীয় জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহম্মদ শফিউল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহম্মেদ সিদ্দিক, নৌ বাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাসহ ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার এন্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।