সাবা তানির দাফন সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সংগীতশিল্পী সাবা তানির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। টাঙ্গাইলের গোড়াই গ্রামে নানাবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বুধবার বাদ মাগরিব তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে বাদ জোহর ঢাকার গুলশানের আজাদ মসজিদে সাবা তানির জানাজা হয়। জানাজা শেষে মরদেহ নানাবাড়িতে নেওয়া হয়।
গত শতকের আশি ও নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সাবা তানিকে গত সোমবার সকালে উত্তরায় বাসায় বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।
বুধবার সাবা তানির পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী চিত্রনায়িকা শাবনাজ জানান, সাবা তানির একমাত্র ছেলে আনিদ বুধবার সকাল নয়টায় লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। দুপুর ১২টায় সাবা তানির মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আজাদ মসজিদে। সেখান থেকে টাঙ্গাইলের গোড়াই গ্রামে নানাবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বুধবার বাদ মাগরিব তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
সাবা তানির মৃত্যুতে আগামী শুক্রবার বাদ আসর গুলশান সোসাইটি মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান শাবনাজ।
এর আগে সাবা তানির খালাতো ভাই নাঈম জানিয়েছিলেন, সাবা তানি দীর্ঘদিন যাবৎ নিম্ন রক্তচাপে ভুগছিলেন। উত্তরার বাসায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন। গত রোববার নিউ ইস্কাটনে বড় বোনের বাসায় যান মা। রাতে তিনি সেখানেই ছিলেন। রাত থেকে অনেকেই সাবা তানিকে ফোন করে পাননি। শেষে সোমবার সকালে বাসার কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে দরজা ভেঙে আত্মীয়রা বাসায় ঢোকেন। এ সময় সবাই তাঁকে বাথরুমের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
সাবা তানির মৃত্যুসংবাদ শুনে অনেকেই উত্তরায় তাঁর বাসায় ছুটে যান। মৃত্যুকালে তিনি মা, দুই ভাই, দুই বোন ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
সাবা তানির জনপ্রিয় হওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কিছুক্ষণ’, ‘কোনো বৈশাখী রাতে যদি’, ‘ভালোবাসা বহুরূপী’। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও মঞ্চে গান গেয়ে জনপ্রিয় হন তিনি। তাঁর গাওয়া কিছু গজল ওই সময় খুব প্রশংসিত হয়েছিল।