অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ইমরান?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইমরান খানের বিপক্ষে ‘অনৈতিক সম্পর্কের’ অভিযোগ তুললেন দ্বিতীয় স্ত্রী রেহাম খান। জানালেন, তাঁর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকার সময়ই ‘তৃতীয় স্ত্রী’ বুশরা মানেকার সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। রেহামের ধারণা, তৃতীয় বিয়ের পর ইমরান যেসব কথা বলছেন, সেগুলোর একটিও সত্যি নয়। তিনি ইমরানকে ‘মিথ্যাবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন, বুশরার সঙ্গে কমপক্ষে তিন বছর ধরে পরিচয় ইমরানের।
দ্য টাইমসকে রেহাম বলেছেন, ‘আমি যত দূর জানি, এই বুশরার সঙ্গে ইমরানের সম্পর্ক তিন বছর ধরে। এমনকি আমাদের সংক্ষিপ্ত দাম্পত্য জীবনেও ইমরান প্রায়ই বুশরার সঙ্গে দেখা করত। সে আগাগোড়া একজন মিথ্যাবাদী।’
সামাজিক মাধ্যমেও রেহাম একই কথা জানিয়েছেন। বিয়ের সময় নিয়েও সন্দেহ আছে তাঁর মধ্যে, ‘আমি যত দূর জানি, ইমরান বুশরাকে গত ১ জানুয়ারি বিয়ে করেছে। কিন্তু সে এটা জনসম্মুখে প্রকাশ করল এখন। একই ব্যাপার সে করেছিল আমাকে বিয়ে করার পর।’
রেহামের এই সাক্ষাৎকার রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে ইমরানকে। ক্রিকেট ছাড়ার পর পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে ওঠা ইমরান এখন স্বপ্ন দেখেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহণের। তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফ রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তি অর্জন করেছে। কেবল তা-ই নয়, এই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন মুসলিম লিগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তারাই। আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনের আগে রেহামের এসব কথাবার্তা মুসলিম লিগের হাতে যথেষ্ট রসদ সরবরাহ করবে—এটা বলাই যায়।
১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে অবসরে যান ইমরান। এর পরপরই রাজনীতিতে তাঁর আবির্ভাব। ১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ ধনকুবের জেমস গোল্ডস্মিথের মেয়ে জেমাইমাকে বিয়ে করেন ইমরান। সেই বিয়ে স্থায়ী হয় ২০০৪ পর্যন্ত। জেমাইমার ঘরে আছে ইমরানের দুই ছেলে। সাংবাদিক ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা রেহামের সঙ্গে তাঁর বিয়ে এক বছরও টেকেনি।