আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এ ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষাসৈনিকদের স্মরণ করা হয়।
এসময় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে বর্ণমালা, অল্পনাসহ বাংলাদেশের নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
আয়োজকরা জানান, নড়াইল একুশ উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯৯৮ সালে নড়াইলে এ ব্যতিক্রমী আয়োজন শুরু হয়। প্রথমবার ১০ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করা হলেও প্রতিবছর এর ব্যপ্তি বেড়েছে। এ বছর ৬ একর জায়গা জুড়ে এক লাখ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। ওড়ানো হয় ৬৭টি ফানুস। এ আয়োজন দেখতে প্রতিবারের মতো এ বছরও দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন উপভোগ করে।ছবি:বাংলানিউজসন্ধ্যায় কুরিরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি একসঙ্গে জ্বলে উঠে সে সঙ্গে ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গণসংগীত শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন হাজার হাজার দর্শক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, নড়াইল পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস, একুশ উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক প্রফেসর মুন্সি হাফিজুর রহমান, একুশ উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব নাট্যকার কচি খন্দকার প্রমুখ। বাংলানিউজ