নিদাহাস ট্রফির আগেই মাশরাফি-সাকিবদের নতুন কোচ
স্পোর্টস ডেস্ক : হেড কোচ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থা কতটা ছন্নছাড়া সেটা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন খুব কাছ থেকেই দেখে দেখেছেন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সামনে নিজ দলের অসহায় আত্মসমর্পন অনুধাবন করেছেন দলকে সুসংগঠিত করতে হেড কোচ কতটা মোক্ষম ভূমিকা পালন করে।
তাই কাল বিলম্ব না করে আগামী মার্চে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজের আগেই হেড কোচ নিয়োগ দিতে চাইছেন তিনি, ‘নিদাহাস কাপের আগেই কোচ নিয়ে আসতে চেষ্টা করছি। সামনে আইপিএল তাই এই মুহূর্তে ফুল টাইম কোচ পাওয়া কঠিন। তারপরেও হেড কোচ নিয়োগের ব্যাপারটি আমরা মোটামুটি ফাইনাল করে ফেলেছি।’
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেক্সিমকো কার্যালয়ে তিনি একথা বলেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটের ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের স্কোয়াডে স্থিতাবস্থা বজায় থাকলেও টেস্টে তা ছিল অনুপস্থিত। এক সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে পড়ায় ডাকতে হয়েছে ৬ স্পিনারকে (সানজামুল ইসলাম, তানবির হায়দার, আব্দুর রাজ্জাক, নাঈম হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম)। তাতে চট্টগ্রাম টেস্টে মোটামুটি ফল এলেও ঢাকা টেস্টে লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিকরা।
এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দল নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টে পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে দেখা গেল বিস্তর। এক দু’জন নয় দুই ম্যাচে ৬ জন নতুন প্লেয়ারের অভিষেক হলো। পাপনের মতে এসবই যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে হয়েছে। যা পূরণে একজন হেড কোচই যথেষ্ট।
‘আমাদের লিডারশিপ ছিল না বলেই এই অবস্থা। তাই কোচ লাগবে। হাথুরুসিংহে ভালো ছিল। তাই বলে বিশ্বসেরা তো আর নয়। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে তাই নিয়োগের কথা ভাবছি। কোচ ছাড়া হবে না। পেশাদার কোচ দরকার।’
বলে রাখা ভালো হঠাৎ করেই হাথুরু টাইগারদের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ায় বাংলাদেশের হেড কোচ ছিল না। তাই সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে স্থানীয় কোচ চালিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। যেখানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন এবং কোচের দায়িত্বে ছিলেন সহকারি রিচার্ড হ্যালসাল।