ওজ অ্যাগ্রিবিজনেস প্রজেক্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের প্রধান কৃষিবিদ আভরি বার জুর মিয়ানমার টাইমসকে বলেন যে, স্থানীয় সহায়তায় ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষকদের ফসল সংগ্রহ পরবর্তী প্রযুক্তির অভাব রয়েছে, যেমন তিলের বীজ সংরক্ষণ করা যেটা তারা ফসল তোলার পরপরই বিক্রি করে দেয়, যে কারণে অনেক সময় তারা ভাল দাম পায় না।
তিনি বলেন, “কৃষকদের সাহায্য করার জন্য খামার অবকাঠামো দরকার। যদি তারা ফসল সংগ্রহ পরবর্তী কৌশল সম্পর্কে জানতে পারে, তাহলে তারা তাদের পণ্য কয়েক মাসের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে এবং যখন উপযুক্ত দাম পাওয়া যাবে, তখন বিক্রি করতে পারবে।
আভরি বার জুর বলেন, কৃষি শিল্প গড়ে তুলতে এবং এটাকে আরও লাভজনক করতে হলে সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, “প্রথমে কৃষকদের তাদের পণ্যকে আরও মানসম্মত করে তুলতে হবে, যাতে তারা চীন, সিঙ্গাপুর অথবা অন্যান্য বাজার থেকে ভাল দাম পায়।”
তিনি বলেন, মিয়ানমারের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশেরও বেশি কৃষিকাজে জড়িত কিন্তু তারা দেশের জিডিপিতে তাদের অবদান মাত্র ৩৫ শতাংশ। মিয়ানমারের কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও মান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের।
ইয়াঙ্গুনে ইসরাইলি দূতাবাসতের ডেপুটি প্রধান নির বালজাম বলেন, কৃষির উন্নয়নের জন্য মিয়ানমার ও ইসরাইলের সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সহযোগিতার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর