এবার থেকে প্রাথমিক সমাপনীতে শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্ন
এবার থেকে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্নে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেবে সরকার।
২০১৮ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন করে রোববার আদেশ জারি করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)।
এতে বলা হয়েছে, “২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জাতীয় কর্মশালার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতি বিষয়ে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন হবে।”
প্রাথমিক সমাপনীতে সৃজনশীল প্রশ্নের হার গত কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে বাড়চ্ছিল সরকার। ২০১৭ সালে ৮০ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে প্রতি বিষয়ে ৬৫ শতাংশ প্রশ্ন যোগ্যতাভিত্তিক ছিল, বাকি প্রশ্ন ছিল ট্রাডিশনাল।
২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন করা হয়েছিল।
২০১৩ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৩৫ শতাংশ এবং ২০১৫ সালে ৫০ শতাংশ সৃজনশীল প্রশ্নে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা হয়।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের উত্তর লিখতে হয়। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই দুই ঘণ্টায় পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় ২০১৩ সালে এই পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে আড়াই ঘণ্টা করা হয়।
এবার থেকে প্রাথমিক সমাপনীর সবগুলো প্রশ্ন শতভাগ সৃজনশীল হলেও পরীক্ষার সময় আগের মতই আড়াই ঘণ্টা রাখা হয়েছে।
২০১৭ সালের এইচএসসিতে ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। আর চলতি এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হচ্ছে।
অন্যদিকে জেএসসিতে গত বছর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হয়েছে।
Primary+Terminal-100Creative+Question সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার ফলে পাবলিক পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা কমার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করে উত্তর লেখার দক্ষতা বাড়ছে বলে দাবি করে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।