বিএনপি নেতার চোখ উৎপাটনের চেষ্টা
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি : গৌরনদী উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আবু বকরের (৫৫) উপর বৃহস্পতিবার রাতে পিংলাকাঠী বাজারে কতিপয় যুবলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।
হামলাকারীরা পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ তার দুই চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায়। গুরুতর অবস্থায় রাতেই তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গৌরনদী উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গাজী আবু বকর (৫৫) ও সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস, উপজেলা যুবদলের সদস্য ফুয়াদ হোসেন (৪২) পিংলাকাঠী বাাজারের আজাহার হাওলাদারের দোকানে চা পান করে বের হয়ে একটি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যাওয়ার পথে আসাদ আকনের নের্তৃত্বে ৮/১০ জন যুবলীগ কর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় তারা গাজী আবু বকরকে পিটিয়ে জখম করে।
এক পর্যায়ে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে আবু বকরের চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায়। এ দৃশ্য বাজারের মধ্যে ব্যবসায়ী ও পথচারীরা দেখলেও কেউ উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা বীরদর্পে চলে যাওয়ার পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে শুক্রবার সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গাজী আবু বকর অভিযোগ করে বলেন, যুবলীগ সন্ত্রাসী আসাদ আকনের (২৬) নেতৃত্বে তার সহযোগী বাবু (২৪), সাব্বির ও রাজীবসহ একদল সন্ত্রাসী হকিস্টিক, লোহার রড ও ক্রিকেটের স্টাম্প নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম ও চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালিয়ে চোখ নষ্ট করে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত আসাদ আকন, বাবু, সাব্বির ও রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে করে তাদের পাওয়া যায়নি।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রোগীর শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চোখ ভালো আছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। তাকে বরিশাল ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কেউ অভিযোগ করেন নাই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।