রসগোল্লার আবিষ্কার পশ্চিমবঙ্গে!
---
মুখরোচক মিষ্টান্ন রসগোল্লা আবিষ্কারের স্বীকৃতি পেয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। দেশটির জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) সংস্থার পক্ষ থেকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
রসগোল্লা আবিষ্কারের দাবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্যের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। অবশেষে এর সুরাহা হলো।
মিষ্টান্নটির মালিকানা চেয়ে ২০১৫ সালের জুনে প্রথম দাবি করে ওড়িশা। রাজ্যটির পক্ষ থেকে বলা হয়, অনেক আগে থেকেই রাজ্যটির পুরীর মন্দিরে রসগোল্লা উৎসর্গ করা হতো দেবতা জগন্নাথকে। তাই রসগোল্লা আবিষ্কারের স্বীকৃতি শুধু তাদেরই প্রাপ্য। রাজ্যটিতে ঘটা করে রসগোল্লা দিবস পালনও শুরু করা হয়।
কিন্তু পাল্টা দাবি করে পশ্চিমবঙ্গ বলে, রসগোল্লা একেবারেই তাদের সৃষ্টি। ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরে রসগোল্লা ভোগ দেওয়ার সঙ্গে মিষ্টান্নটির সৃষ্টির কোনো সম্পর্ক নেই।
এমন পাল্টাপাল্টি দাবির মধ্যে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে রসগোল্লার মালিকানার দাবি জানিয়ে জিআইয়ের কাছে আবেদন করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের পর থেকে বেশ কয়েকবার জিআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরা।
পরে জিআইয়ের কর্মকর্তারা কলকাতা ও ওডিশায় গিয়ে রসগোল্লার ইতিহাস নিয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে আলোচনা করা হয় রসগোল্লার জনক বলে খ্যাত নবীন চন্দ্র দাসের পরিবারের সঙ্গেও।
অনুসন্ধান শেষে জিআই জানায়, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যে মিষ্টি ভোগ দেওয়া হতো, তার সঙ্গে বাংলার রসগোল্লার কোনো সম্পর্ক নেই। রসগোল্লা একেবারেই বাংলার সৃষ্টি। আর এর মধ্য দিয়ে রসগোল্লার আবিষ্কর্তা হিসেবে পাকাপাকিভাবে জিআইয়ের স্বীকৃতি পেল পশ্চিমবঙ্গ।