বৈঠকে সুচির সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কী আলোচনা হয়েছে?
---
মিয়ানমার স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির সঙ্গে বুধবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় যেসকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১) সুচি বলেছেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফিরিয়ে নিতে তার সরকার কাজ শুরু করেছে।
২) কফি আনান কমিশন বাস্তবায়নে তার (অং সান সুচি) সরকার কাজ শুরু করেছে।
৩) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুচিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফর করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সুচি দুই দেশের সুবধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
৪) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ৫ পয়েন্টস এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৫) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুচিকে সিনিয়র অফিসিয়ালস ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো অবহিত করেছেন। এবং জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সুচি এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
৬) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স ঘোষণা সুচিকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেছেন, দেশে কোনো সন্ত্রাসী প্রশ্রয় পাবে না। তবে অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত ফিরিয়ে না নিলে এদের অনেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে জড়িয়ে যেতে পারে। তখন পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কারও অনুকূলে থাকবে না বলে সুচিকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
৭) মাদকের অবৈধ পাচার বিশেষত ইয়াবার ভয়াবহতার ব্যাপারে সুচিকে অবহিত করা হলে সুচি নিজেই বলেন তার দেশের যুবসমাজের অনেকেই ইয়াবায় আসক্ত। বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার বন্ধে তার (মিয়ানমার) সীমান্ত বন্ধ করবে।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে মিয়ানমার নেত্রী সু চির কাছে রোহিঙ্গা সমস্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে, গতকাল নেপিডোতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে একমত হয়েছে দুই-দেশ।
পাশাপাশি, কফি আনান কমিশন রিপোর্ট বাস্তবায়নেও ঢাকার কাছে অঙ্গীকার করেছে নেপিডো। এ সময় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেন দুদেশের নীতিনির্ধারকরা।